আব্দুল্লাহ আল-মামুন, স্টাফ রিপোর্টার : কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, ছাত্রী কেলেঙ্কারি এবং সহকারী শিক্ষিকাদের সহিত অনৈতিক কথাবার্তা বলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এক শিক্ষক দম্পতি। সোমবার দুপুরে শার্শা উপজেলার নাভারণ বাজারে স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় লিখিত অভিযোগ কপি থেকে পাঠ করে শুনান ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সাহানিমা আক্তার লতার স্বামী আবু নঈম নুরুজ্জামান লাল্টু।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনছার আলী একজন জামায়াতে ইসলামের সক্রিয় কর্মী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ ও ছাত্রী কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত। বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষিকাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে তিনি অনৈতিক কথাবার্তা বলেন। তারই ফলশ্রুতিতে গত ২৫/০৮/২০২২ তারিখে আমার স্ত্রী বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা সাহানিমা আক্তার লতার সহিত বিভিন্ন প্রকার অনৈতিক কথাবার্তা বললে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়। এসময় সহকারী প্রধান শিক্ষিকা সাহানিমা আক্তার লতা আমাকে জানালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসলে আমাকেও লাঞ্ছিত করেন এবং বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন তিনি। খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ডালিম হোসেন মিমাংসা করে বিষয়টির সমাধান করার জন্য উভয় পক্ষকে আশ্বাস দেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষক মিমাংশা না করে গত ৩০শে আগস্ট কলারোয়া থানায় উপস্থিত হয়ে আমার নামে একটি মিথ্যা মামলা করেন। যার নং-৩৬৩/২২। এ ছাড়া গত ০৪/০৯/২০২২ তারিখে কলারোয়া থেকে সম্প্রচারিত সমাজের আলো নামে একটি অনলাইন মিডিয়ায় মিথ্যা বানোয়াট কথা বলেন এবং সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে সম্মানহানি করার পাশাপাশি আমাদেরকে অপহরণ করার হুমকি প্রদান করেন।

প্রধান শিক্ষক আনছার আলী বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ফুসলিয়ে স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাবিন করে বিবাহ করে পরবর্তীতে আবার ছাড়াছাড়ি করেন। এ ঘটনায় ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যশোর আমলী আদালতে মামলা হয়। যার নং-৬৩/২১। সে ঘটনার তদন্ত করেন যশোর পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেষ্টগেশনের (পিবিআই) তদন্ত টিম। সে ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যায়। উক্ত মামলাটি এখনো বিচারাধীন রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন শেষে অসহায় পরিবারটি বলেন, প্রধান শিক্ষক জামায়াতে ইসলামীর একজন সক্রীয় কর্মী হয়ে কিভাবে এতো অভিযোগের ভিত্তিতে বহাল তবিয়তে থাকতে পারে। ওই শিক্ষকের খুটির জোর কোথায়। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করে যেভাবে লাঞ্ছিত করেছে আমি সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনের কাছেও বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।