শালিখ মাগুরা প্রতিনিধিঃ মাগুরার শালিখায় উপজেলার রামপুর গ্রামের ৬ বছরের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের পিল্টু মোল্যার ছেলে তাইজুদ্দিন মোল্লা(২৪) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ঐ শিশুটি মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয় ছুটির পরে বাড়ী ফেরার পথে রামপুর গ্রামের সেলিম মোল্লার বাড়ির নিকট পৌঁছালে তাইজুদ্দিন শিশুটিকে গোয়াল ঘরে নিয়ে খড়-পল দিয়ে মুখ চেপে ধরে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করে। এদিকে শিশুটি সময় মত বাড়ি ফিরে না আসায় শিশুটির মা ও দাদি রাশিদা বেগম বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি গোয়াল ঘর থেকে শিশুটির কান্নার আওয়াজ পেযে তাকে পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে। শিশুটির দাদি রাশিদা বেগম বলেন, আমার নাতি প্রতিদিন ১২ টার পর পরই বাড়িতে চলে আসে ঘটনারদিন সময় মতো বাড়ি ফিরে না আসায় আমি ও আমার বউমা নাতিকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি গোয়ালঘর থেকে কান্নার শব্দ শুনে কাছে গিয়ে আমার নাতিকে মাটিতে শোয়া এবং তাইজুদ্দিনকে পাশে দাড়ানো অবস্থায় দেখতে পাই। তখন আমি তাইজুদ্দিনকে জিজ্ঞাসা করি তুই আমার নাতিকে এখানে এনেছিস কেন? সে এরপর দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। এদিকে তাইজুদ্দিন মোল্লার যথাযথ বিচার দাবি করেছেন শিশুটির পরিবার ও প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশি সেলিম মোল্লা বলেন, আমাকে ফাঁসানোর জন্য সে আমার গোয়ালঘরে এরূপ পৈশাচিক কাণ্ড ঘটানোর চেষ্টা করেছে আমি তার সঠিক বিচার চাই। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তাইজুদ্দিন মোল্লার বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। বুনাগাতি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাহফুজার রহমান বলেন, আমি অভিযুক্ত তাইজুদ্দিনের পিতা পিন্টু মোল্লার সাথে কথা বললে পিন্টু মোল্লা বলেন, ঘটনাটি যা ঘটেছে এ নিয়ে আমি ছেলের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাচ্ছি। শালিখা থানা অফিসার ইনচার্জ বিশারুল ইসলাম বলেন, পুলিশ অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়েছে তবে এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।