স্বপন বিশ্বাস, শালিখা,মাগুরাঃ মাগুরার শালিখা উপজেলায় সোনালী আঁশ পাটের বাম্পার ফলন হলেও পাট পচন নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক।

অনাবৃষ্টির কারণে খাল, বিল, নদী-নালা, পুকুর, ডোবা সব শুকিয়ে গেছে যার ফলে পাট পচন দিতে পারছেন না শালিখার কৃষকরা। আর তাই বাধ্য হয়েই পাট কেটে সরাসরি শুকিয়ে খড়ি বানাচ্ছে অনেক কৃষক। উপজেলার ধনেশ্বর গাতি ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামের রাস্তায় এমন দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। মুলত আষাঢ় মাসে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু এই বছরে আষাঢ় মাস পেরিয়ে শ্রাবণ মাস এসেছে তবুও বৃষ্টি হচ্ছে না । বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ভিন্নমুখী ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়ায় প্রচন্ড তাপের কারণে জমি ফেঁটে যাচ্ছে। বন্যার পানিতে জমির উপর পলি পড়ে উর্বরতা বৃদ্ধি পায় কিন্তু অনাবৃষ্টির কারণে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। খাল,বিলে অল্প পানি থাকার কারণে পানি দুষিত হয়ে সকল প্রকার বড় ছোট মাছ নিধন হয়ে যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় ,বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টির পানিতে পাট কেটে পচন দিতেন।পাট পচন দিতে আট-দশ হাত পানির দরকার হয় । কিন্তু এবার বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আমরা পাট পচন দিতে পারছি না।যার কারণে পাট কেটে জমিতেই রেখে দিতে হচ্ছে। জমিতেই শুকিয়ে বিনষ্ট হচ্ছে সোনালী আঁশ। খাল,বিল কোথাও পানি নেই। বৃষ্টি না হওয়ার জন্য আমাদের নানান দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এব্যাপারে শালিখা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আলমঙ্গীর হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে শালিখা উপজেলায় ৩৯৩৫ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। যেখানে গত বছর ছিলো ৩৮৯০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ ৷ গত বছরের তুলনায় এবছর ৪৫ হেক্টর বেশি জমিতে পাটের চাষ হয়েছে৷ চাহিদা অনুযায়ী বৃষ্টি না হওয়ার কারণে প্রান্তিক কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন।
তিনি আরোও বলেন,শালিখাতে অধিকাংশ ডোবা-নালা ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে পানি অনেকটা কম। তাছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের রিবন রিডিং পদ্ধতিতে পাট পচন দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মাটিতে গর্ত খুঁড়ে পাট পচাতে হবে। তারা এখন রিবন পদ্ধতি ব্যাবহার করে পাট পচাতে পারবে।