ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে সদ্য ভুমিষ্ঠ এক ছেলে শিশুকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হচ্ছে নবজাতকের মা নুরুন্নাহার, নানি কমলা খাতুন ও মায়ের প্রেমিকা আলিফ আবেদীন গুঞ্জন।

পুলিশ ও হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে ঝিনাইদহ আড়াই’শ বেড জেনারেল হাসপাতালে নুরুন্নাহার নামে এক ডিভোর্সি নারীর ছেলে সন্তান হয়। তার পিতৃ পরিচয় নিয়ে হাসপাতালের স্টাফরা প্রশ্ন তুল্লে গোপনে মা নুরুন্নাহার ও নানি কমলা খাতুন সুস্থ নবজাতককে গলাটিপে হত্যা করে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, হাসপাতালে নুরুন্নাহার সুস্থ বাচ্চা প্রসব করে। কিন্তু বাচ্চার পিতৃ পরিচয় নিয়ে শোরগোল শুরু হলে ঘটনাস্থলে সাংবাদিক নামে খ্যাত আলিফ আবেদীন গুঞ্জন নামে এক যুবক উপস্থিত হয়। তখন ডিভোর্সি নারি শিশুটির পিতা সাংবাদিক নামে খ্যাত আলীফ আবেদীন গুঞ্জন বলে জানায়।

হাসপাতালের তত্বাবধায়কের ভাষ্যমতে শিশুটির মা ও নানি পরিকল্পিতভাবে নবজাতককে হত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে। এ বিষয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষ ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ নবজাতকের মা হরিণাকুন্ডু উপজেলার হামিরহাটি গ্রামের মৃত আকতার হোসেনের কন্যা নুরুন্নাহার, নানি কমলা খাতুন ও মায়ের প্রেমিকা ব্যাপারীপাড়ার তারেক আবদেীনের ছেলে সাংবাদিক নামে খ্যাত আলিফ আবেদীন গুঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সাংবাদিক নামে খ্যাত আলীফ আবেদীন গুঞ্জন হামিরহাটী গ্রামের মোজাম মহুরীর কন্যাকে বিয়ে করেন। মোজাম মহুরীর ভায়ের মেয়ে নুরুন্নাহারকে তালাক দিয়ে গুঞ্জন তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে নুরুন্নাহার গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পিতৃ পরিচয় নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে এমন শংকা থেকে গুঞ্জনের সহায়তায় নুরুন্নাহার ও তার মা কমলা খাতুন নবজাতককে হত্যার ছক কষে।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (অপারেশন) হরিদাশ রায় জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগের পর পুলিশ তদন্ত শুরু করছে। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতাও পাওয়া গেছে। তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।