মোঃ সাইদুল ইসলাম : অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ব্রত নিয়ে যশোরের বেনাপোলে ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্বর্নলতা সমাজকল্যান সমিতি।

সামাজিক উন্নয়নে নানা কর্মসূচীর মধ্যে নাম মাত্র লাভে ঋণ বিতরণ করেন সমিতিটি। সমাজের পিছিয়ে থাকা ভাগ্যহত অসচ্ছল দুঃস্থ অভাবগ্রস্থ দরিদ্রদের মাঝে ঋণ বিতরণের মাধ্যমে তাদেরকে কর্মক্ষম ও স্বাবলম্বী করা এবং অভাবমুক্ত সুখী- সমৃদ্ধ সোনালী সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই এই সমিতির একমাত্র লক্ষ্য ।

স্বর্নলতা সমাজকল্যান সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এছাড়া এই সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে নিজেদের জিবন বদলাতে চেষ্টা করছেন শার্শা উপজেলার আরো ২শতাধিক নারী-পুরুষ।

সমাজ ও সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনমান উন্নয়নে একজন সফল নারী উদ্দোক্তা হিসাবে সমিতিটি প্রতিষ্ঠিত করেছেন জাহানারা বেগম নামে এক জয়ীতা।

বেনাপোল সীমান্তের দূর্গাপুর গ্রামের তাহাজ্জত আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম। ২০১৬ সালে স্বর্নলতা সমাজকল্যান সমিতির কার্যক্রম শুরু হয়ে আজ অবধি সুনামের সহিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

সমিতি সদস্য ও মানুষের প্রয়োজনে নানা খাতে বিনিয়োগ করে তাদের ‘কৃষিঋণ’, ‘গরু, হাঁস-মুরগি খামার ঋণ’, ‘ব্যবসা ঋণ’, ‘পরিবহন ঋণ’, ‘গৃহনির্মাণ ঋণ’, প্রবাসী ঋণ’ সহ নারীদের জন্য সেলাই মেশিন কিনে দেওয়া হয় এই সমিতি থেকে।

সমিতির পক্ষথেকে যে সমস্ত নারীদের সেলাই মেশিন কিনে দেওয়ার পর তারা স্বাবলম্বী হয়েছেন, তাদের মধ্যে থেকে উল্লেখ যোগ্য হলো বেনাপোল কাগজপুকুর গ্রামের হবিবার রহমানের স্ত্রী রুনা, একই গ্রামের আসমা, কাগমারি গ্রামের রহিমা, সীমা, আফসনা, রুনা, লিজা, মরিয়া, নাসরিন, আরজিনা, চায়না, মিস্টিসহ অনেকে।

অন্যদিকে বেনাপোল দূর্গাপুর গ্রামের তাহাজ্জত আলীর ছেলে তামিম, একই গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে হাসান, ফরিদের ছেলে মিনহায, রাসেল, শাকিল, সবুজ সহ আরো ১৫ জন মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন এখান থেকে ঋণ নিয়ে।

স্বর্নলতা সমাজকল্যান সমিতির সভাপতি মোছাঃ জাহানারা বেগম বলেন, অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ব্রত নিয়ে তাদেরকে সমাজে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে আমার এই দীর্ঘ পথ চলা। মানুষের জন্য এমন কিছু করে যেতে চাই তারা যেন কর্মহীন জীবন ও অর্থাভাবে দিন পার না করে। স্বর্ণলতা সমাজকল্যাণ সমিতি মানুষের কল্যাণে সব সময় কাজ করে যাবে। সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সহযোগিতা কামনা করছি।