কালীগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যের একটি ফুল নাইটকুইন। ফুলটিকে রাতের রানী বলে। এটি সন্ধ্যার পর থেকে ফুটতে শুরু করে। রাত বাড়ার সাথে সাথে স্নিগ্ধ সৌরভ ছড়িয়ে প্রকৃতিতে এক ধরণের মাদকতা দিয়ে পরিপূর্ণভাবে প্রস্ফুটিত হয়ে জানিয়ে দেয় আমিই রাতের ফোটা ফুলের রাণী। ছাদে বা বারান্দায় থাকা এই গাছে ফুল ধরলে দারুণ দেখায়। এ ফুলের গন্ধও ভারি মিঠে, উগ্র নয়। রাতের অন্ধকারে গাছ আলো করে ফুটে থাকে এই ফুল। রাত শেষ হওয়ার আগেই ফুলটি ঝরে যায়। এ কারণেই হয়তো এই ফুল নাইটকুইন বা রাতের রাণী নামকরণ হয়েছে।

ঈদের দিন রাতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন কাশিপুর গ্রামের বাসিন্দা শিবলী সাদিক সোহাগের বাড়িতে এক গাছে ২২টি নাইটকুইন ফুল ফুটে সবাইকে চমকে দিয়েছে। সংবাদ পেয়ে দৃষ্টিনন্দন এ ফুলগুলো দেখতে প্রতিবেশীরা তার বাড়িতে ভিড় জমায়। ব্যবসায়ী শিবলী সাদিকের দাবি, দেশে এই প্রথম একটি গাছে একসাথে এতো নাইটকুইন ফুল ফোটার রেকর্ড।

শিবলী সাদিক সোহাগ জানান, ২০০২ সালে তিনি একটি নাইটকুইন ফুলের চারাগাছ সংগ্রহ করে বাড়ির দ্বিতল ভবনের ছাদে স্বযন্তে রেখে দিয়েছিলেন। এরপর প্রতিদিন পানি ও সার দেয়াসহ পরিচর্যার কাজ করতাম। তবে গাছের টবে কখনো রাসায়নিক সার ব্যবহার করিনি। সব সময় জৈব সার ব্যবহার করতাম। তার বিশ্বাস ছিল একদিন ফুল ফুটবে। দীর্ঘ ২০ বছর পর তার সেই স্বপ্ন সত্যি করে একসাথে এতো বেশি ফুল ফুটেছে। নিজের হাতে লাগানো গাছে এতো ফুল দেখে আমি খুবই খুশি হয়েছি।