খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, সাতক্ষীরা | তারিখঃ জুন ৩০, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 6187 বার
মোঃ মিল্টন কবীর (মিন্টু) কলারোয়া প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা : কলারোয়া সীমান্তে বিজিবি সদস্য কতৃক একজন ট্রাক্টর চালককে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া ফকিরপাড়ার নিকটে মধুলাল ও মজিবার ফকিরের বাড়ির নিকটে ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযুক্ত বিজিবি’র সদস্যের নাম ল্যান্স নায়েক মিজান।
আহত ট্রাক্টর চালকের নাম শাহিনুর রহমান (৩২) । সে একই এলাকার বাকসা-হঠাৎগঞ্জ গ্রামের ঈমান আলী গাজীর পুত্র।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, ট্রাক্টর চালক শাহিনুর প্রতিদিনের মতো বোয়ালিয়া- বাগাডাঙ্গা মাঠে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ফকির পাড়া মোড়ের সন্নিকটে মধুলাল ও মজিবার ফকিরের বাড়ির সম্মুখে রাস্তায় পৌছালে বিজিবি সদস্য মিজান ঐ স্থানে উপস্থিত হয়ে হর্ণ বাজাতে থাকে। এ সময় ঐ ট্রাক্টর চালককে থামিয়ে তার কাছে লাইসেন্স চায় বিজিবি সদস্য মিজান। ট্রাক্টরের কোনো লাইসেন্স না থাকায় তা দেখাতে ব্যার্থ হলে বিজিবি মিজানের সদস্য মিজানের হাতে থাকা জি আই রড দিয়ে শাহিনুরকে আধা ঘন্টা ধরে পিটিয়ে জখম করে । পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
পরে কাকডাঙ্গা বিওপি’র কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌছালে স্থানীয় জনতার তোপের মুখে পড়েন। এ সময় ভাদিয়ালী গ্রামের ইউফার সরদারের পুত্র ও শীর্ষ চোরাকারবারি আসাদুল ইসলাম স্থানীয় জনতাকে হুমকি ধামকি দিতে থাকে।
কথিত বিজিবি সদস্য মিজানের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। এর আগে একাধিকবার স্থানীয় সাধারণ নির্মম নির্যাতন করেছে কথিত বিজিবি সদস্য মিজান।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত বিজিবি সদস্য মিজানুর বলেন , ঐ ট্রাক্টর চালক শাহিনুর বেপরোয়া ট্রাক্টর চালিয়েছে । তাকে চড় থাপ্পড় মারা হয়েছে। তবে জি আই পাইপ দিয়ে পেটানোর বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাকডাঙ্গা বিওপি’র কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রাক্টর চালকের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। তারপর মারধরের ঘটনা ঘটেছে। ইতিপূর্বে বিজিবি সদস্য মিজান কতৃক এলাকার সাধারণ জনগণকে মারপিটের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে এ বিষয়ে তিনি জানেন না বলে জানান।
উল্লেখিত বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি’র কমান্ডিং অফিসার (সিও) বলেন, বিষয়টি আমি ইতিমধ্যেই জেনেছি। সিভিল জনসাধারণকে মারধর করাটা উচিত হয়নি। যদিও ট্রাক্টর চালকের কিছু ক্রটি ছিলো। এ বিষয়ে অবশ্যই ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এ দিকে অভিযুক্ত বিজিবি সদস্যের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান এলাকার সচেতন সমাজ।