যশোর অফিস : আজ যশোরের প্রগতিশীল বাম আন্দোলনের অন্যতম নেতা আলমগীর সিদ্দিকীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৭ সালের এই দিনে রাজনৈতিক সফরে গিয়ে নওগাঁ জেলার একটি আবাসিক হোটেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান তিনি। সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আজীবন লড়াই করেছেন এ প্রগতিশীল নেতা।

ছাত্র জীবনে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগে যোগদান করে রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয় আলমগীর সিদ্দিকীর। মেধা ও সৃজনশীলতার কারণে অল্প সময়ের মধ্যে তিনি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর দলটি ছেড়ে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন তিনি।

১৯৪৮ সালে যশোরে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে গঠিত সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন আলমগীর সিদ্দিকী। ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে যশোরে পুলিশ-ছাত্রের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন সাহসী এ নেতা। এরপর ১৯৪৯ সালে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগে যোগদান করেন।

১৯৫৭ সালে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতায় মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপের যশোর জেলা সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আলমগীর সিদ্দিকী। ১৯৬৮-৬৯ এর আয়ুব বিরোধী গণআন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবনবাজি রেখে কর্মী বাহিনীকে উজ্জীবিক করে রাখেন। আলমগীর সিদ্দিকী শুধু রাজনৈতিক অঙ্গনেই নয়, সাহিত্য, সংস্কৃতি, সমাজসেবা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্রীড়াঙ্গনেও ছিল তার পদচারণা ।

মজলুম জননেতা মওলনা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সুদীর্ঘকালের সংগ্রামী সহকারী আলমগীর সিদ্দিকীকে বাদ দিয়ে প্রগতিশীল আন্দোলন কখনই শুরু করেন নি।