মোঃ মিল্টন কবীর (মিন্টু),কলারোয়া প্রতিনিধী,সাতক্ষীরা : এক পথচারী রাস্তার উপর দাড়ানো এক ছোট ছেলেকে জিঙ্গেস করছে, খোকা এমএলএ সাহেবের বাড়ীটা কোনদিকে ? উনি কি বাড়ী আছেন ? খোকা উত্তর দিয়ে বললো, ঐযে সামনে লাঙল চষছে সাদা লুঙ্গি গেঞ্জি পরা, উনিই এমএলএ সাহেব ! লোকটি তাকে দেখে উত্তর দিলো,খোকা তুমি এই বয়সেই বেয়াদব হয়ে গেছো ! কথাটা শুনে খোকা রাগে রাগে হন হন করে একদিকে হেটে দিলো ! লাঙল চষা লোকটি তখন এমপিএ !

তিনি ‘৫৪ সালে এমএলএ ছিলেন, তাই এলাকায় তিনি এমএলএ সাহেব বলে পরিচিত । তিনি একাধারে এমএলএ এমসিএ এমপিএ ছিলেন, ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর আট ও নয় নম্বরের রাজনেতিক উপদেষ্টা, খুবই সাদাসিদা জীবন যাপন করতেন,অধিকাংশ সময় হেটে ওজরুরি বাইসাইকেলে চলাচল করতেন,এমনকি প্রতিটি নির্বাচনে তিনি বাইসাইকেল চড়েই নির্বাচনী ক্যাম্পিং করতেন !

মমতাজ আহমেদের বয়স যখন আঠারো তখন তিনি বাইশ গ্রামের মাতব্বর ছিলেন, যে গ্রামগুলোর বড় অংশ পশ্চিম বাংলার অংশ ! তিনি খুলনা জেলা বোর্ডের প্রথম মুসলিম মেম্বার ছিলেন,যিনি জেলাবোর্ডের প্রেসিডেন্ট হন তার চাইতে তিনি বেশি ভোট পেয়েছিলেন এমনকি একটি ওয়ার্ডের সবগুলো ভোট তিনি পেয়েছিলেন ! প্রতিপক্ষ প্রার্থী একটি ভোটও পান নাই ! আইয়ূব খানের মৌলিক গনতন্ত্রের সময় সবুর খানের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে মাত্র ছয় ভোটে পরাজিত হন,তাও নিজদলীয় এক নেতার বিশ্বাসঘাতকতার কারনে ! তারপরও তিনি ’৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকে বলে সেই তাকেই আবার নমিনেশন পাইয়ে দেন !

তিনি ১৯৪৬ সালে কোলকাতা থেকে গ্রাজুয়েশন করেন,কোলকাতায় পড়াকালীন সময় ভারতের প্রখ্যাত কম্যুনিস্ট নেতা কমরেড আব্দুল হালিমের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু‘র সাথে তার পরিচয়, পরিচয় পর্বটা ছিলো চমৎকার, একদিন কমরেড হালিম তাকে ডেকে বললেন তোমাদের বাঙ্গাল এলাকার এক দামাল ছেলে আছে, যে কোলকাতা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ! তুমি কি তাকে চেনো, আসো তোমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো ! তারপর থেকেই বঙ্গবন্ধু‘র সাথে তারআমৃত্যু সম্পর্ক ছিলো ! প্রথমে আপনি সম্মোধন, তারপর আপনি থেকে তুমি,শেষে তুমি থেকে তুই ! মৃত্যুর আগ পযন্ত যা বহাল ছিলো ।

তিনি কোলকাতা থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন পশ্চিম বঙ্গের বসিরহাট মহাকুমার বালতি নামক এক হাইস্কুলে । ঐ হাইস্কুলের তিনিই ছিলেন প্রথম মুসলিম প্রধান শিক্ষক ! এলাকার এক হিন্দু জমিদারের সাথে বনিবনা না হওয়ায় এবং জীবনাশঙ্কা তৈরি হওয়ায় তিনি যশোরের বাগআঁচড়া হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন । তখন থেকেই তিনি শুরু করেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করাসহ নানা সমাজকল্যানমূলক কাজ । তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রথম হাইস্কুলটি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলায় অবস্থিত ! তিনি মাওলানা আকরাম খাঁর সাথে যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা করেন কাকডাঙ্গা সিনিয়র মাদ্রাসা । আমৃত্যু তিনি মাদ্রাসাটির পৃষ্ঠপোষক ছিলেন । মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দৈনিক যুগান্তরের রির্পোট অনুযায়ী ১৭০ টির মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে গেছেন,যার অধিকাংশ ছিলো তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ।

বাগআঁচড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন সময়ে ১৯৪৯ সালে ২৩শে জুন আওয়ামীলিগের জন্ম হলে তিনি বঙ্গবন্ধু‘র কথামত আওয়ামীলিগে যোগদান করেন । তিনি খুলনা ও সাতক্ষীরাতে আওয়ামীলিগের প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন, তৎকালীন বৃহত্তর খুলনা আওয়ামীলিগের সহ-সভাপতিও ছিলেন । পরবর্তীতে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হলে তিনি তাতে যোগদান করেন ।‘৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে গেলে তিনি বঙ্গবন্ধু‘র কথায় নির্বাচনে প্রার্থী হন । সে সময় খুলনার কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা তাকে নমিনেশন না দেওয়ার জন্য ঢাকায় কেন্দ্রে চিঠি দিলে তার উত্তরে তিনি ঢাকায় জনাব হোসেন শহীদ সোরওয়ার্দী সাহেবের কাছে টেলিগ্রাম করে চ্যালেন্জ ছুড়ে দেন যে, – I do challenge anyone at my constituency even to the Sawrowardhi ! এই চিঠি পেয়ে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক খুলনায় এসে প্রকাশ্য তাঁর প্রার্থীতা ঘোষনা করেন !

আমাদরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর-আট ও নয় নম্বরের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন । রাজনৈতিক উপদেষ্টা হলেও তিনি সরাসরি মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে ক্যাম্পে ছুটে বেড়াতেন, সাথে থাকতো একটি পানির কেটলি,একটি হাওয়া বালিশ ও মশারী । যা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর দেওয়া । যুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদরে বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শনের করার সময় মেজর মন্জুর তাঁকে পাঁজাকোলা করে জীপে তুলে দিতেন ! যদিও তিনি অধিকাংশ সময় বাইসাইকেলের রডে বসে এক ক্যাম্প থেকে অন্য ক্যাম্পে যাতায়াত করতেন ! মেজর মন্জুর, যিনি পরবর্তীতে জিয়া হত্যাকান্ডের পর চট্রগ্রামে জেনারেল এরশাদ সাহেবের পাঠানো এক হন্তারকের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন ।’৫৬ সালে আওয়ামীলিগ মন্ত্রীসভা গঠন করলে বঙ্গবন্ধু সরাসরি জনাব সোরওয়ার্দী সাহেবের কাছে তার নাম প্রস্তাব করেন কিন্ত তিনি বিনয়ের সাথে তা প্রত্যাখ্যান করেন ! জনাব সোরওয়ার্দী তার কারন জিঙ্গাসা করলে তিনি উত্তরে বলেন beneath dignity! এই কথায় সোরওয়ার্দী সাহেব রাগান্বিত হয়ে বলেন What does it mean ! উত্তরে জানান, যে মন্ত্রীসভায় একজন মদ্যপ আছে আমি সেখানে যোগদান করতে পারি না ! তখন জনাব সোরওয়দিী সাহেব বলেন মমতাজ সাহেব আমি দায় শোধ করছি ! আপনি কি জানেন ’৪৭ সালে দেশ ভাগ হলে আমি ভারতে থেকে যাই, তখন ভারতীয়রা আমাকে পাকিস্থানের এজেন্ট ও পাকিস্থানীরা আমাকে ভারতের দালাল বলতে থাকে,পরবর্তীতে আমি যখন পাকিস্থানে চলে আসি তখন কেউ আমাকে আশ্রয় দেয় নাই,এমনকি যে সবুর খান যে আমার জুতা পর্যন্ত বইতো, সেও না ! সেই সময় ব্রান্মনবাড়ীয়ার আব্দুর রহমানই আমাকে আশ্রয় দেয় এবং আমি সেখানে থেকে রাজনীতি শুরু করি । কিন্ত তারপরও তিনি মন্ত্রীসভায় যোগ দেননি,তবে নতুন মন্ত্রীপরিষদের ভবিষ্যত রুপরেখা বা কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসাবে কি করনীয় তা সোরওয়ার্দী সাহেব জানতে চাইলে তিনি তিনটি প্রস্তাবনা দেন, তার অন্যতম হলো গ্রাম পর্যায়ে খাদ্যগুদাম তৈরি । কেননা তখন দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় গ্রামের দিকে আশ্বিনে মানান্তর দেখা যেতো, যা তাৎক্ষনিকভাবে মোকাবেলা করতে হলে স্থানীয়ভাবে খাদ্যমজুদ রাখা জরুরি । তারই প্রস্তাবনার অংশহিসাবে পরবর্তীতে সারাদেশে খাদ্যগুদাম তৈরি করা হয় ।

এরপরও বিভিন্ন সময়ে তিনি একাধিকবার বিভিন্ন সরকারের কাছথেকে মন্ত্রীপরিষদে যোগদানের প্রস্তাব পান কিন্ত আদশগত কারনে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন ! তার মধ্যে জেনারেল জিয়াউর রহমানের সময় একবার,সে সময় প্রস্তাবটি নিয়ে আসেন সৈয়দ আমিনুর রহমান যিনি সাতক্ষীরার এককালীন এসডিও ছিলেন ও পরবতীতে যিনি জিয়াউর রহমানের এডিসি হন । জিয়াউর রহমান তাকে দলে ভিড়াতে না পেরে অবশেষে এককালীন এমএলএ সাতক্ষীরা কালীগন্জের মুনসুর আলী সাহেবকে দলে টানেন ও পরে বস্ত্রমন্ত্রী বানান !
সর্বশেষ প্রস্তাব পান জেনারেল এরশাদের সময়, তৎকালনি সাতক্ষীরা জেলাপরিষদের চেয়ারম্যান জনাব সৈয়দ আবুল হোসেনের মাধ্যমে ! তিনি সেটিও প্রত্যাখ্যান করেন ! এবিষয়টি নিয়ে তিনি তার এককালীন রাজনৈতিক সহযোদ্ধা যুক্তফ্রন্টের নেতা জনাব আতাউর রহমান খানের সাথেও কথা বলেন, যিনি কিছুদিনের জন্য এরশাদ সাহেবের মন্ত্রীপরিষদের দায়ীত্ব পালন করেন ।

আজীবন তিনি আদর্শের রাজনীতি করে গিয়েছেন, কখনোই আদর্শের সাথে একচুল আপোষ করেননি ! মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্থানীরা এদেশীয় দোষরদের সহযোগীতায় তার বাড়িটি পুড়িয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়,যুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু তাকে নতুন বাড়ি তৈরির জন্য টাকা দেন, কিন্ত তিনি সেই টাকা রেডক্রিসেন্টকে দান করে দেন ! তাই তার মৃত্যুর (২০১৩)আগ পযর্ন্ত নিজের তৈরি বাড়িতে থাকা হয়নি ! শুধু তাই নয়, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার বাড়িতে কোনো বিদ্যুৎ ছিলোনা ! পল্লী বিদ্যুতের জি এম সাহেব একাধিকবার তার বাড়িতে যেয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা বললে তিনি বলতেন, গ্রামের প্রত্যেকের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার পরে তুমি আমার বাড়িতে এসো । অবশ্য পরবর্তীতে বর্তমান নৌ মন্ত্রনালয়ের সচিব তৎকালীন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মহোদয় জনাব আবদুস সামাদ সাহেবের একান্ত তৎপরতায় বিদ্যুৎ সংযোগ হয়।

তিনি ছিলেন আপদমস্তক একজন ধার্মিক মুসলমান , কেউ কখনো তাকে নামাজ রোজা কাযা করতে দেখেন নাই ! তবে তার লেখা এক ডায়েরীতে দেখা যায় তিনি পেটের পীড়ার কারনে কয়েকবার রোজা ভাঙছেন ! তিনি মনেপ্রানে এক অসাম্প্রদায়ীক চেতনার মানুষ ছিলেন,তিনি সবসময় বলতেন ধর্ম নিয়ে কখনো বাড়াবড়ি করোনা বা ধর্ম জাহির করার জন্য নয় । তিনি বলতেন, তোমার উচ্চারন আচরন ও কাজে তোমার শরীরের প্রতিটি পশম পর্যন্ত বলে দিবে তুমি সত্যিকার মুসলমান ও ধার্মিক কিনা ! তাই তার জীবদ্দশায় দেখা যায় অন্য ধর্মের মানুষদের সাথে তার আন্তরিক সৌহাদ্যমুলক সম্পর্ক ছিলো । বিপদে আপদে তিনি সবসময় সবার আগে তাদের কাছে পৌঁছে যেতেন । অন্য ধর্মের মানুষেরাও তাকে অতি আপনজন মনে করতেন ।

একটি ঘটনার কথা বলে আজকের লেখাটি শেষ করতে চাই । জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর তিনি প্রথমেই আওয়ামীলিগের বহু নেতা মন্ত্রী ও এমপিএদের কাছে তাদের সম্পদের হিসাব চান ! সেইসময় মমতাজ আহমদ সাহেবের কাছেও বেশ কয়েক পৃস্ঠার এক ফরমেট পাঠিয়ে তার সম্পদের তথ্যবিবরনী নির্দিষ্ঠ সময়ের মধ্যে পাঠাতে বলেন ! তিনি যথাসময়ে তা তৈরি করে পাঠিয়ে দেন । প্রেরিত সম্পদের হিসাব বিবরনী হয়তো সরকার বাহাদুরের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি ! তাই জেনারেল জিয়াউর রহমান তাঁর গোয়েন্দা প্রধান জনাব মাহমুদ কে সরেজমিনে দেখে তার বাড়ীটি তালাবদ্ধ করতে নির্দেশ দেন ! গোয়েন্দা প্রধান যথারীতি সাতক্ষীরাতে এসে জনাব মমতাজ আহমেদকে তলব করেন ! তিনি সাতক্ষীরাতে যেয়ে গোয়েন্দা প্রধানের সাথে দেখা করলে তিনি তাকে বলেন আমার উপর নির্দেশ আছে আপনার বাড়িতে তালা লাগাতে ! মমতাজ আহমদ তাকে বলেন ঠিক আছে তবে সেজন্য আপনাকে অনেক বেশী পরিমান শিকল ও তালা‘র ব্যবস্থা করতে হবে ! না হলে তালা দিবেন কিভাবে ! গোয়েন্দা প্রধান শুনে বিষ্ময় প্রকাশ করেন এবং বলেন আপনি মুরুব্বি মানুষ হয়ে এমন কথা বলছেন কেন ! এক পর্যায়ে তিনি তাকে তার গাড়ীতেনিয়ে গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে হাজির হন এবং একটি বস্তি সদৃশ যায়গা দেখিয়ে বলেন এইযে আমার বাড়ি ! একথা শুনে ও দেখে গোয়েন্দা প্রধান ভিষণ বিরক্তি প্রকাশ করেন এবং বলেন আপনি মুরব্বি মানুষ হয়ে আমার সাথে রহস্য করছেন ! কেননা তিনি দেখেন রাস্তার ধারে কয়েকটি ছেড়া তাঁবু পাতানো ও ছাপড়াঘর ! যেগুলো দেখিয়ে বললেন এখানেই আমার পরিবারের লোকজন বাস করেন ! গোয়েন্দা প্রধান তো মহাবিরক্ত ! কিন্ত যখন দেখলেন তার ছোট বাচ্চারা এসে বাবাকে জড়িয়ে ধরেছে এই আশঙ্কায় যে তার সাথে থাকা অনেক পুলিশ আছে, যারা হয়তো তাদের বাবাকে এ্যারেস্ট করতে এসেছে ! এই দৃশ্য দেখে গোয়েন্দা কর্মকর্তার মনে হয়েছে তিনি হয়তো সত্য কথা বলছেন ! ইতিমধ্যে গ্রামের বহু মানুষ জড়ো হয়ে গেছে,পুলিশেরাও পজিসন নিয়েছে,পরে পরিস্থিতি সামলে উঠে সবকিছু স্বাভাবিক হলে, গ্রামের লোকজন আগত সবাইকে গাছ থেকে ডাব পেড়ে খাওয়ালেন ! যাওয়ার সময় গোয়েন্দা প্রধান জনাব মাহমুদ সাহেব মমতাজ আহম্মেদ সাহেবের হাত ধরে বললেন, আমরা ইতিহাসে পড়েছি হযরত ওমর (আ:) কাহিনী ! আজ তার নমুনা দেখে গেলাম ! বিদায় নেওয়ার সময় বললেন আমার জন্য দোয়া করবেন।
৩রা নভেম্বর, ২০১৩ সালে এই দিনে মমতাজ আহম্মদ (৯৬) স্বাভাবিক মৃত্যুবরন করেন ৷