আব্দুল্লাহ আল-মামুন, স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০১৬ ও ২০২০ সংশোধনসহ পণ্য চালান শুল্কায়নে এইচ.এস কোর্ড ও সি.পি.আই নির্ধারণে প্রণীত আইন বাতিলের দাবীতে দেশের ১১টি শুল্কায়ন স্টেশনের সাথে একযোগে কর্মবিরতি পালন করেছে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন।

মঙ্গলবার (৭ জুন) সকাল ৯টা থেকে দিনব্যাপী ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টম ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডি এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের ডাকা এ কর্মবিরতিতে বেনাপোল কাস্টম হাউস গেটের সামনে ছিল উত্তাল। সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ও কর্মচারিরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেন।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সভাপতি ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ সামছুর রহমান বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক মৌলিক অধিকার পরিপন্থী কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০১৬ ও ২০২০ সংশোধনসহ পণ্য চালান শুল্কায়নে এইচ.এস কোর্ড ও সি.পি.আই নির্ধারণে প্রণীত আইন বাতিলের দাবীতে এ কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। এছাড়া, এইচ.এস কোর্ডে কাস্টম কর্তৃপক্ষ কোনভাবে ভূল ধরতে পারলে পণ্যের উপর ২০০ পারসেন্ট জরিমানা করছে। যা সম্পূর্ণ অবৈধ আইন এবং ব্যবসায়ীদের উপর মারাত্বকভাবে হুমকি স্বরুপ। যেকারণে রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক মৌলিক অধিকার পরিপন্থী আইন বাতিলের দাবিতে সারাদেশের ১১টি শুল্ক ভবন ও স্টেশনে একযোগে এ কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত তাদের দাবি মানা না হবে, ততদিন ধরে তাদের কর্মবিরতি চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।

সারাদেশের যেসকল শুল্ক ভবন ও স্টেশনে এ কর্মবিরতি চলছে – ঢাকা, চিটাগাং, মোংলা, পানগাও, সোনা মসজিদ, হিলি, আখাউড়া, বিবির বাজার, সিলেটের তামাবিল ও সাতক্ষীরার ভোমরা।

এদিকে দিনব্যাপী বেনাপোল বন্দরে কর্মবিরতি পালন করায় আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যসহ সকল ধরণের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বন্দর এলাকায় পণ্যজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া, সরকার বঞ্চিত হয়েছে ৫০ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ থেকে। যা বেনাপোল কাস্টম হাউসের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে প্রভাব পড়বে বলে জানাযায়।