সাঈদ ইবনে হানিফ, বাঘারপাড়া(যশোর) থেকে ঃ
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, প্রাণ (আর এফ এল) কোম্পানিতে ওই এলাকায় শিপিং সহকারী পদে চাকরি করতেন। সে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের আবুল হোসেন মুন্সির ছোট ছেলে। জানা যায়, ঘটনার দিন গত শনিবার রাতে অনেকের মত সেও অগ্নিকান্ডের ভিডিও ফেসবুকে লাইভ করছিলেন। কিন্তু কিছু সময় পরে হঠাৎ ডিপোর কনটেইনার গুলোতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে মূলত এর পর থেকে ইব্রাহিম এর মুঠো ফোন বন্ধ ছিল। সন্দেহ হলে পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনা স্থলে গিয়ে খোজাখুজির একপর্যায়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মরদেহের সন্ধান মেলে এদিকে ইব্রাহিমের নিহতের খবর শুনে তার গ্রামের বাড়ি বাঘারপাড়ার নরসিংহপুরে ভীড় করতে শুরু করে আশপাশের লোকজন। ছেলের জন্য নির্বাক অপেক্ষা করতে থাকেন মা-দুলুপি বেগম ও বাবা আবুল কাশেম। অন্যদিকে স্বামীকে হারিয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মুন্নি খাতুন যেন বাকরুদ্ধ। ভাই বোন ও স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠছে এলাকার পরিবেশ । ইব্রাহিম এর মা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, শনিবার রাত ৯ টার দিকে ছেলের সাথে ফোনে শেষ কথা হয়। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে অনাগত সন্তানের মূখ দেখতে চেয়ে ছিলেন। এবং পুত্র সন্তান হলে কোরআনের হাফেজ বানানোর ইচ্ছে ছিল তার। জহুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, গত পাঁচ বছর আগে প্রাণ আর এফএল কোম্পানিতে চাকরি পান ইব্রাহিম। এবং দেড় বছর আগে নিজ গ্রমে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী এখন ৯ মাসের অন্তঃস্বত্তা । রোববার সন্ধায় হাসপাতাল থেকে মরদেহ গ্রহণ করে নিহত ইব্রাহিম এর খালাতো ভাই শিমুল হোসেন। সোমবার তার জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে।