যশোর অফিস : যশোরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গোলযোগের ঘটনায় যশোর কোতয়ালী থানায় চারটি মামলা হয়েছে। যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর ও ঝাউদিয়া গ্রামে এই ঘটনাগুলোর পাল্টাপাল্টি মামলায় ২০জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলো, ঝাউদিয়া গ্রামের আব্দুল ওহাবের মামলার চারজন হলো হাফিজুর রহমান, সুজন, সজল ও নুর নাহার। হাফিজুর রহমানের পাল্টা মামলায় তিনজনের মধ্যে আব্দুল ওহাব, মহিমা বেগম, রিম্পা খাতুন। বাহাদুরপুর গ্রামের আসাদুজ্জামানের মামলায় বাবু, বাপ্পি, ফয়সাল, মিন্টু, নার্গিস ও রাবেয়া বেগম। এর পাল্টা বাবুর মামলায় আব্দুল কুদ্দুস শামিম, সোবাহান আলী, বিপ্লব, শামিম হোসেন, মইনুল, মনিরা বেগম ও শিমুল হোসেন।

ঝাউদিয়া গ্রামের আব্দুল ওহাবের মামলায় জানা যায়, আসামিরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। আসামি হাফিজুর রহমান আপন ভাই। পৈত্রিক জমিতে থাকা তাল গাছ নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ৬টির মধ্যে দু’টি গাছের তাল আসামি হাফিজুর ইতিপূর্বে কেটে নিয়েছে। গত ৩ জুন বাদী অন্য দু’টি গাছের তাল কাটতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বাদীকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এসময় ঠেকাতে গিয়ে আব্দুল ওহাবের স্ত্রী মহিমা বেগম ও মেয়ে রিম্পা খাতুন এলে তাদেরও মারপিট করে। এসময় তার মেয়ের গলায় থাকা ৮০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন ঘরে থাকা ৪৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
অপরদিকে হাফিজুর রহমান পাল্টা মামলায় বলেছেন, আসামি আব্দুল ওহাব তার ভাই। কিন্তু তিনি ভুমিদস্যু। জমি যায়গা নিয়ে বিরোধের জেল ধরে তার সাথে দীর্ঘদিন শত্রুতা চলে আসছে। গাছের পাল পাড়াকে কেন্ত্র করে গত ৩ জুন বাদীকে মারপিট করে। তার স্ত্রীর গলায় থাকা ৪০ হাজার টাকা স্বর্ণের চেইন ও ছেলে ৭ হাজার ৭শ’ টাকার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

বাহাদুরপুর গ্রামের আসাদুজ্জামান মামলায় বলেছেন, আসামিরা এলাকার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, খুনি ও পরসম্পদ লোভী। এই কারণে তাদের সাথে বাদীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত ৩ জুন সকালে বাদীর ভাই কুদ্দুসের বাড়ির প্রাচীর নির্মাণকালে আসামিরা অতর্কিতভাবে বাড়িতে এসে হামলা করে। এসময় তার ভাইয়ের কাছে থাকা ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর আব্দুল কুদ্দুসের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা চলে যায়।

অপরদিকে একই গ্রামে বাবুর দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, আসামিদের সাথে তাদের জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে গত ৩ জুন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়িতে নির্মাণকাজ চলাকালে আসামিরা জোর পূর্বক সেখানে বাদীর জমির মধ্যে প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করে। ঠেকাতে গেলে বাদী বাবু, তার ছেলে ফয়সাল ও স্ত্রীকেও মারপিট করে। এসময় তার স্ত্রীর গলায় থাকা ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।