খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ মে ২৬, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 5550 বার
এবিএম রাজিব : ‘বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের’ ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা।
আগামী ৩০ মে অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে মোট ভোটার ৭২৪ জন। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা, সাতক্ষীরাসহ সারা দেশেই ছড়িয়ে রয়েছেন ভোটাররা।
দুই প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ‘সমমনা সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদের’ শামছুর রহমান-মধু-লতা এবং ‘ঐক্য পরিষদের’ সজন-ভারত- ফজলু।
নির্বাচন কমিশনার কাজী শাহজাহান সবুজ জানান, বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এই নির্বাচনে দুটি প্যানেলে ১৯ জন করে মোট ৩৮ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। মোট ৭২৪ জন ভোটারের মধ্যে তিনশ ভোটার স্থানীয়। অন্য ভোটাররা দেশের বিভিন্ন এলাকার।
৩০ মে সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন।
প্রতিটি প্যানেলের পক্ষে ভোটারদের নিয়ে বেনাপোল, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, দর্শনা, নোয়াপাড়া, খুলনা, সাতক্ষীরা, ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রচার চলছে। ব্যবসায়ী এই সংগঠনের নির্বাচনে সরাসরি রাজনৈতিক দলের দলীয় কোনো প্যানেল নেই।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতার নের্তৃত্বে ‘শামসুর রহমান-মধু-লতা’ ‘সমমনা সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদের’ প্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনটির পরিচালনা পরিষদে কাজ করে আসছেন। অন্যদিকে বর্তমান সংগঠনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজনের নেতৃত্বে ‘সজন-ভারত-ফজলু’ ঐক্য পরিষদে এক ঝাঁক তরুণ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের জেলায় জেলায়।
আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘সমমনা সম্মিলিত-সমন্বয় পরিষদের’ সভাপতি পদপ্রার্থী শামসুর রহমান বলেন, “আমি একজন ব্যবসায়ী মানুষ। আমি ব্যবসায়ীদের নানা অসুবিধার বিষয়টি বুঝি। তাই সাধারণ সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের নানা অসুবিধার বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমি আবারও নির্বাচনে নেমেছি। বিশেষ করে বন্দরের অব্যবস্থাপনা এবং বন্দরের নানা অসঙ্গতির কারণে অধিকাংশ আমদানিকারক এ বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ হারাচ্ছে।”
তারা জয়ী হলে কাস্টমস ও বন্দরের সঙ্গে বসে আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান কল্পে কাজ করবেন বলে জানান।
ছাতা প্রতীকের ‘সজন-ভারত-ফজলু ঐক্য পরিষদের’ সভাপতি পদপ্রার্থী মফিজুর রহমান সজন বলেন, আমরা ইশতেহার দিয়েছি। এসোসিয়েশনের কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠি নিজেদের অতৃপ্ত অর্থলোভ চরিতার্থ করতে বছরের পর বছর পদ আকড়ে রাখায় এসোসিয়েশন হারিয়েছে তার গৌরব, সম্মান ও ভাবমূর্তি। এর কারণে কাস্টমস-বন্দরে চরম হয়রানিসহ হাজারো সমাস্যার আবর্তে বন্দী সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরা।
তিনি আরও বলেন, এ অবস্থার উত্তোরণে ২০ বছরের একপেশী, পদলোভী রাহুগ্রাস থেকে ঐতিহ্য ও সম্মান রক্ষর্থে নবীন-প্রবীনের সেতুবন্ধনে আমরা প্যানেল দিয়েছি। এখন “নির্বাচন নিয়ে খুবই ব্যস্ত আছি। যেহেতু মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেকের বেশি বেনাপোলের বাইরে। আমি দীর্ঘদিন ধরে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলাম। তাদের সুখে দুঃখে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছি।”
এবারের নির্বাচনেও ভোটাররা তাকে ও তার প্যানেলের অন্যান্য প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়ী করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম বলেন, ইতোমধ্যে ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ করা হবে সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। এরপরই ভোট গণনা শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।