যশোর অফিস : যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক হায়াতুজ্জামান মুকুলকে দুর্নীতির অভিযোগে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।

রোববার (২২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই ঘোষণা দেয়া হয়। যা সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

একই সাথে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জিইবিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুল হাসানকে আহবায়ক এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আমিনুল হককে সদস্য সচিব ও মুজাহিদুল হককে সদস্য করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ মে ছিল যবিপ্রবি’র ডাটা অপারেটরের তিনটি পদের নিয়োগ পরীক্ষা। পরীক্ষা চলাকালে সমির কুন্ডু নামে এক পরীক্ষার্থী হলের মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন।

এসময় পরীক্ষা কেন্দ্রের থাকা শিক্ষক ড. মেহেদী হাসান সমির কুন্ডুর ফোন জব্দ করেন। একই সাথে তাকে জেরা করা হলে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক হায়াতুজ্জামান মুকুলের সাথে ফোনে কথা বলছিলেন।

তার সাথে ১০ লাখ টাকা চুক্তি হয়েছে ডাটা অপারেটর পদে নিয়োগ করে দেবেন। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর নজরে আনা হলে তিনি ফোন রেকর্ড শুনে তাৎক্ষণিক হায়াতুজ্জামান মুকুলকে সাময়িক বহিস্কারের নির্দেশ দেন। একই সাথে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক হায়াতুজ্জামান মুকুল জানান, আমি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের গ্রুপিং রাজনীতির শিকার হয়েছি। এই ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।

এব্যাপারে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন জানান, নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক হায়াতুজ্জামান মুকুলকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম যারা নষ্ট করছে তাদের সাথে প্রশাসন কোন আপস করবে না। কেননা আমি চাই স্বচ্ছতার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে উচ্চ শিখরে নিতে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।