সানজিদা আক্তার সান্তনা, যশোর অফিস : যশোরের শার্শার ঐতিহ্যবাহী বাগআঁচড়া বাজারের কাঁচরীপট্টির শতাধিক দোকান ভেঙ্গে তছনছ করায় জনদুর্ভোগে পড়েছে বাগআঁচড়া উপ-শহরসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ইউনিয়নের জনসাধারণ। একই সাথে এবাজারের রেকর্ড কৃত বাইপাস সড়কটি বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়ায় জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এবাজারের বাইপাস সড়কটি যাতে বন্ধ না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছে। জানাগেছে, সম্প্রতি তিনটি উপজেলার ব্যাবসায়ীক প্রান কেন্দ্র শার্শার ঐতিহ্যবাহী বাগআঁচড়া বাজারের শতাধিক দোকান দখল মুক্ত করতে উপজেলা প্রশাসন ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। তার মধ্যে ২০ টি সবজির দোকান, ৩০টি মুরগির মাংসের দোকান, ৫০টি বীজের দোকান ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় শতাধিক ব্যাবসায়ী বেকার হয়ে পড়ে। তাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ ও সংসার কি ভাবে চলবে সেই চিন্তায় তারা দিশাহারা হয়ে যায়। এছাড়াও এবাজারের রেকর্ড কৃত বাইপাস সড়কটি উপজেলা প্রশাসন বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। যে সড়কটি দিয়ে এবাজারে যাতায়াত করেন শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া, কায়বা ও গোগা ইউনিয়ন, ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর, বাঁকড়া ও হাজিরবাগ ইউনিয়ন এবং কলারোয়া উপজেলার কুষুডাঙ্গা, কেরেলকাতা ও চন্দনপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার ক্রেতাসাধারণ। ফলে এসমস্ত এলাকার জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এজনপদের হাজারো মানুষের দীর্ঘ দিনের যাতায়াত ও বাজারে প্রবেশের রেকর্ড কৃত সড়কটি যাতে বন্ধ না হয় তার সুব্যবস্থা করতে ভুমি মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।এব্যাপারে বাগআঁচড়া বাজার কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা দ্বায়ীত্বে থাকতে প্রস্তাব পেয়েছিলাম জায়গাটা পরিস্কার করে দিতে হবে। কিন্তু গরিব-দুঃখি, অসহায় দোকানদারদের কথা চিন্তা করে সেটা সম্ভব হয়নি। কারন এদের কে এখান থেকে সরিয়ে দিলে এমন কোথাও জায়গা নাই যে সেখানে তারা বসবে। আমারা জন-প্রতিনিধি বা সংগঠনের দ্বায়ীত্বে আছি শুধু জনগনের খেদমতে। তাদের পরিবারের মানুষের মুখের আহার কাড়তে নয়। এবিষয়ে বাগআঁচড়া বাজার কমিটির সভাপতি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটাতে আমার কিছু করার নাই। ভুমি অফিসের জায়গা এসিল্যান্ড ভেঙ্গে চুরে ফাঁকা করেছে। আমি কি করতে পারি। এব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রসনা শারমিন মিথী জানান, ভূমি অফিসের ৬৪ শতক জায়গায় অবৈধ দোকান ভেঙ্গে সেটা দখল নেওয়া হয়েছে। যে দোকান গুলো বৈধ আছে সেই দোকান গুলো অক্ষত অবস্থায় আছে। এখন রাস্তা বন্ধ করে প্রচীর নির্মান করে রাখা হবে।