মণিরামপুর(যশোর)অফিস।। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে আকষ্কিক ভাবে ভোজ্য তেলের সংকট দেখা দিয়েছে এবং দাম ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আকাশ ছোয়া দামে ভোজ্যতেল কিনতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। ক্রেতারা বলছেন- এতো দাম হলে কিভাবে সয়াবিন তেল কিনবো?। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন- আমরা চাহিদামতো সয়াবিন তেল আনতে পারছি না। যে কারণে বিক্রিও করতে পারছি না। তেলের সাথে সাথে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কিছু কিছু কাঁচা তরিতরকারি ও মুদি পণ্যের। যা নিম্ন আয়ের মানুষের একেবারে ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। পাশাপাশি খোলা তেল দফায় দফায় দাম বাড়িয়েছে। যে কারণে আবারও তেলের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল-২০২২) দুপুরে রাজগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন দোকানে ঘুরে দেখা ও জানা গেছে- ভোজ্য তেল সয়াবিনের সংকট। অধিকাংশ দোকানে বোতলজাত তেল নেই। আবার খোলা তেল অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। রাজগঞ্জ বাজারের দোকানদাররা বোতলজাত তেল প্রতিলিটার ১৭০ থেকে ১৮০ টাকার কমে বিক্রি করছে না। আর খোলা সয়াবিন তেল প্রতিকেজি ২০০ টাকায় বিক্রি করছে। এদিন রাজগঞ্জ বাজারের বটতলা স্কুল মার্কেটের মুদি ব্যবসায়ী সুব্রত দত্ত বলেন- খোলা সয়াবিন তেল ২০০ টাকা প্রতিকেজি। বোতলজাত তেল নেই। এই ২/৩ বোতল তেল আছে। তা ১৭০ টাকার নিচে বেঁচা যাবে না। তিনি আরও বলেন- বিদেশ থেকে সয়াবিন তেল আসছে না, এজন্য তেলের সংকট ও দাম বেশি। সুব্রত দত্ত বলেন- বোতলের গায়ের দামে তেল বিক্রি হবে না। ক্রেতা রিয়াজ হোসেন (৩৫) বলেন- এক কেজি খোলা সয়াবিন তেল কিনলাম ২০০ টাকা দিয়ে। করে সংসার চলবে ?। এদিকে- বৃহস্পতিবার রাজগঞ্জ বাজারে বেগুন প্রতিকেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সাথে সাথে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে মাছ, অন্যান্য সবজি, ডাল, আটাসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের। এই ঈদের বাজারে অতিরিক্ত দামে পণ্য কিনতে যেয়ে রিতিমত দেয়ালে পীটঢেকে যাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের। তাদের বিপদের শেষ নেই। ফলে বাজার মনিটরিং করার দাবী জানিয়েছেন- রাজগঞ্জবাসী।