শালিখা( মাগুরা) প্রতিনিধিঃ কম দামে ৩১টি মোটরসাইকেল বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ৪১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-বিপনী লিমিটেডের সিইও মিঠুন কুমার রাায় ও তার স্ত্রী যুথিকা রায়ের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে ২৫ এপ্রিল যশোরের আদালতে মামলা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তেঘরি গ্রামের মো. আজিজুর রহমানের ছেলে মো. রানা হামিদ মামলাটি করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে আদেশ দিয়েছেন।

আসামিদের মধ্যে সিইও মিঠুন কুমার রায় অভয়নগর উপজেলার ফুলেরগাতি গ্রামের বৈদ্যনাথ রায়ের ছেলে ও চেয়ারম্যান যুথিকা নওয়াপাড়ার অলঙ্গ রায়ের মেয়ে। মাগুরার শালিখার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে তাদের ই-বিপনী লিমিটেডের কার্যালয়। রানা হামিদ মামলায় উল্লেখ করেছেন, আসামিরা ই-কমার্স ব্যবসায়ী। তারা ২৫ শতাংশ ছাড়ে মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোনসেট বিক্রি করতেন। প্রতিষ্ঠানের ঘোষণা ছিলো, তাদের ই-কমার্স সাইটে টাকা জমা দিলে ২৫ শতাংশ ছাড়ের মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোনসেট ৬০ দিনের মধ্যে সরবরাহ করা হবে। রানা হামিদসহ ১৭ জন ক্রেতা মোটরসাইকেল কেনার জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের ই-কমার্স সাইটে সোয়া ৪১ লাখ টাকা প্রদান করেন। । কিন্তু আসামিরা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্রেতাদের মোটরসাইকেল সরবরাহ করেনি। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা সর্বশেষ গত ২১ এপ্রিল আসামিদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা টাকা গ্রহণের কথা অস্বীকার করেন। এ কারণে বাধ্য হয়ে রানা হামিদ আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। এ দিকে ঘটনার পর তার অফিস এলাকা শালিখা উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমপ্লেক্স এ গিয়ে দেখা যায় অফিস বন্ধ। এলাকার লোকজন বলেন বর্তমান তারা কোথায় কি করছে জানা নেই। উল্লেখ্য মিঠুন অনেক বছর ধরে আড়পাড়া বাজারের একটি ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছিল। যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে দ্বিধা দ্বন্দ্ব কাজ করে। পরে গত ২ বছর আগে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভাড়া নিয়ে গভীর রাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মহিলাসহ অফিস চালাতে থাকে। এ সব নিয়ে এলাকার লোকজন তার সাথে বিবাদে জড়ায়। কিন্তু তার সাথে প্রভাবশালীদের সখ্যতা থাকায় নানা অপকর্ম করেও দাপটের সাথে চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে সে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়েছে।