নজরুল মিয়া, রাজবাড়ি থেকে ফিরে : ঈদকে সামনে রেখে যানবাহনের চাপ, ঘাট সংকট ও ফেরি চলাচলে ধীরগতির কারণে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার উভয় ঘাটে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এসব কারণে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাটে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী যানাবহনের সারি সৃষ্টি হয়েছে। প্রচন্ড গরমে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রী ও চালকরা।
দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আজ শনিবার বিকালে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ বাজার পর্যন্ত প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন ফেরিপারের অপেক্ষায় রয়েছে। মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া প্রান্তে ফেরিপারের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত যানবাহন। ফরিদপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী বাসযাত্রী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সকাল ১০ টার দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় পার হই। এরপর গোয়ালন্দ ওয়েটস্কেল থেকে যানজটে আটকে যাই। সেখান থেকে ধীরগতি শুরু হয়। বেলা ৩টার দিকে দৌলতদিয়া প্রান্তের ৫নং ঘাটে এসে ফেরি পাই। আরেক বাসযাত্রী মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে এক সময় ভিআইপি প্রথা প্রচলন ছিলো। বাসের ক্ষেত্রে সেটি ওঠে গেলেও ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে সেই প্রথা রয়েছে। যে কারণে বাসযাত্রীদের ঘণ্টার হিসাব বাড়ছে।
অপচনশীল দ্রব্য বহনকারী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চালকদের ভাষ্য, ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা অপেক্ষা করে তাদের ফেরির নাগাল পেতে হচ্ছে। অনেক গাড়ী দালাল ধরে আগে ফেরিতে যাচ্ছেন। তবে যাত্রীবাহী বাস, কাঁচা সবজি, মাছের গাড়ীসহ বিভিন্ন পচনশীল পণ্যবহনকারী যানবাহন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করার কারণে অপচনশীল দ্রব্যের ট্রাক চালকদের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসির) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দীন বলেন, বনলতা নামের একটি ফেরি মেরামতের জন্য ভাসমান কারখানায় রয়েছে। বর্তমানে ১৮টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।