রবিউল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের মহেশপুরের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে মাটি কাটার কারণে দুই ফসলা তিন ফসলা জমি চরম হুমকির মুখে। যে জমিতে কৃষকরা সোনার ফসল ফলাতো, অথচ অবৈধভাবে পুকুর খননের নামে মাটি কাটার কারণে কৃষি জমিগুলো পুকুরের গর্তে ভেঙে পড়তে দেখা যায়।শুধু কৃষি জমিই নয়, মহেশপুরে বিভিন্ন স্থানে পুকুর খননের নামে কিছু অসাধু ভাটার মালিক সেন্ট্রিগ্রেডের মাধ্যমে জমির মালিকদের অর্থের লোভ দেখিয়ে গভীর পুকুর খনন করায় কৃষকদের দুই ফসলা তিনফসলা জমি হুমকির মুখে। এভাবে চলতে থাকলে বর্ষা নামলেই কৃষকদের জমি গুলো পুকুরের ভিতর ভেঙ্গে পড়বে বলে জানা যায়। শুধু তাই নয় অবৈধভাবে মাটি তোলার কারণে ভাটার মাটি বহনকারী গাড়ী গুলো বেপরোয়া ভাবে রাস্তায় চলা চলের কারণে সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে যে রাস্তা করেছেন সেটার অবস্তাও খুবি বিপদ জনক এবং অনেক প্রাণনাশেরও ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের বৃদ্ধাআঙ্গুলী দেখিয়ে বেপরোয়া ভাবে মাটি তুলছেন একটি সিন্ডিকেট ।সম্প্রতি মহেশপুরের মান্দার বাড়ীয়া ইউনিয়নের শংকরহুূদা বাথানগাছির পান্তার মোড়সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাটি কাটছে একটি সিন্ডিকেট । এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে কৃষি প্রাধান দেশের জমি গুলো কিছু সুবিধাভোগী মানুষের কারণে ধ্বংসের মুখে পড়ছে। এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃষি নির্ভর মহেশপুরের কৃষি জমি গুলো রক্ষা করতে না পারলে, এশিয়ার সবচেয়ে বেশি খাদ্য শস্য উৎপাদনকারী মহেশপুর উপজেলার কৃষি জমিগুলো দ্রুত ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে বলে জানা যায়।

স্থানীয়রা জানান, আমরা সকলে মাটি তুলতে নিষেধ করলেও আমাদের কথা কর্ণপাত না করে মাটি কাটতে থাকেন। তারা প্রভাবশালী ব্যক্তি বেশি কিছু বললে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। এলাকাবাসীর দাবী এভাবে অবৈধভাবে মাটি কাটতে থাকলে আগামীদিনে পুকুরের পাশের দুই ফসলা তিন ফসলা জমি চরম ক্ষতির সম্মক্ষীন হতে পারে বলে জানান।
এবিষয়ে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।