ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন সুমন পরীক্ষার হলে বসে ফেসবুকে লাইভ দেওয়ার ঘটনাটি এখন ‘টক অব দি কান্ট্রি’ তে পরিণত হয়েছে। লাইভের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনা তদন্তে ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে দেশের মুলধারার গনমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইনে খবরটি প্রকাশিত হওয়ায় সমালোচনার মুখে উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। শনিবার (৯ এপ্রিল) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, মেয়াদুত্তীর্ণ হওয়ায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কালীগঞ্জ উপজেলা শাখা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। ঘটনার দিন পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালনকারী প্রিজম কম্পিউটার একাডেমীর শিক্ষক রেহেনা আক্তার নওরিন জানান, “পরীক্ষার হলে ফেসবুকে লাইভ করার সময় মনির হোসেন সুমন আমাকে ফোনটা দিয়ে বলেন আমি পরীক্ষা দিচ্ছি আমাকে একটু ভিডিওতে দেখান। ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক তো, সে অনেক সাহসি ছেলে। যেহেতু ছাত্রলীগ করে, সাধারন সম্পাদক সেহেতু সে ফোনটা দিলে আমি ধরি। পরীক্ষা কক্ষে লাইভ করা ঠিক না, তবে পরীক্ষার শেষের দিকে হওয়াই সে ফেসবুকে লাইভ করছিল কেবল মজা করার জন্য”। ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সাজেদুর রহমান রোববার বিকালে জানান, কালীগঞ্জ প্রিজম কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তাদের ট্রেডের পরীক্ষার জন্য আমাদের ইনস্টিটিউটের হলটি ব্যবহার করেছিল। দিনটি শুক্রবার থাকায় আমরা লাইভের বিষয়টি আমাদের নজরে আসেনি। যেহেতু ঘটনাটি আমাদের প্রতিষ্ঠানেই ঘটেছে, সেই কারণে এর দায়দায়িত্ব আমাদের কাঁধেই এসে গেছে। ফলে আমরা দুই জন চীফ ইন্সট্রাক্টর মোঃ সোহরাব হোসেন, ইয়াবুক আলী ও ইন্সট্রাক্টর আসাদুজ্জামানের সমন্বয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটি আজ সোমবার (১১ এপ্রিল) সংশ্লিষ্টদের জবানবন্দি নিয়ে তাদের প্রতিবদেন দাখিল করবেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর দায়িত্বে অবহেলার সত্যতা প্রমানিত হলে দোষি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে অধ্যক্ষ সাজেদুর রহমান জানান। উল্লেখ্য শুক্রবার পরীক্ষার হল থেকে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের ফেসবুক লাইভের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এরপরই ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল ও ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করার ঘোষনা দেয়।