রাসেল আহমেদ,খুলনা:আর কয়েকদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে বাঙালি হিন্দু ধর্মলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব।

আর এ পূজার প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন প্রতিমা তৈরীর শিল্পীরা। শিল্পীরা রাত-দিন সমানভাবে প্রতিমা তৈরি করতে দেখা যাচ্ছে তেরখাদা উপজেলা সদরসহ গ্রামীন জনপদের দুর্গাপূজা মন্ডপ ও মন্দিরগুলোতে। প্রতিমা তৈরীর কারিগর বা শিল্পীরা তাদের অতি পরিশ্রমের প্রতিমা তৈরিতে তারা প্রতিযোগিতায় নেমেছেন বলে অনেককেই জানিয়েছেন।

ঋতু চক্র হিসাবে এখন চলছে শরৎকাল।আর এই শরৎ কালেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাঙালি হিন্দু ধর্মলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ বছর তেরখাদা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ৮৩টি দুর্গাপূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রতিমা তৈরীর শিল্পীদের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা সদরে অবস্থিত সাহাপাড়া কেন্দ্রীয় মন্দিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগর শ্যামল কুমার পাল জানান, আমি এ বছর কয়েকটি দুর্গা মন্ডপে দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরির কাজ হাতে নিয়েছি। একটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজ সম্পূর্ণ করতে প্রায় ১৪/১৫ দিন সময় লেগে যায়। প্রতিটি প্রতিমা তৈরীর কাজের মজুরি হিসেবে ৩৫ হাজার টাকা মত পেয়ে থাকি। তবে পূজার শুরুর আগেই আমি প্রতিমা তৈরীর কাজ সম্পূর্ণ করব যদি ভগবান আমার শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

উপজেলা সদরসহ বেশ কয়েকটি পূজা মন্ডপে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,অধিকাংশ দুর্গা মন্ডপে প্রতিমা তৈরি করতে কাদা-মাটি, বাঁশ, সুতলি দিয়ে শৈল্লিক ছোঁয়ায় তিল তিল করে গড়ে তোলা দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরিতে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরি শিল্পীরা। আবার কোন কোন প্রতিমায় মাটি কাদা লাগানোর পর এখন পুরোপুরি প্রতিমা তৈরির শিল্পীরা প্রতিমার গায়ে রং তুলি দিয়ে রং লাগাচ্ছেন।এদিকে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরবিন্দ প্রসাদ সাহা ও সাধারণ সম্পাদক শংকর কুমার বালা বলেন, প্রতিমা তৈরীর কাজ ইতোমধ্য বেশিরভাগ মন্ডপে সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন শুধু রং করন করার অপেক্ষার পালা। পূজা শুরু হলেই ঐদিন থেকেই মণ্ডপের পর্দা উঠবে।

অপরদিকে থানার অফিসার ইনচার্জ (চলতি দায়িত্ব) পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত জি এম এমদাদুল হক বলেন, তেরখাদার ছয়টি ইউনিয়নে ৮৩টি পূজামন্ডপে পূজার আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সনাতন ধর্মলম্বী সম্প্রদায়ের লোকজনেরা। পূজা চলাকালীন সময়ে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে তার জন্য কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।