নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ১৫ সেপ্টেম্বর বিএনপির সমাবেশ থেকে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশ গঠনে নতুন বার্তা দেবেন বলে জানিয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

শুক্রবার বিকালে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর সমাবেশের প্রস্ততি নিয়ে যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে জানিয়েয়ে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘দেশে হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় আন্দোলন করেছেন। এখন আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা আন্দোলন করছি। বিএনপি আন্দোলনে ছিলো আন্দোলনে থাকবে। যতদিন পর্যন্ত ভোটের অধিকার আর গণতন্ত্র ফিরে না আসবে।’

গণতন্ত্র দিবসে ১৫ সেপ্টেম্বর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ হবে জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, ‘সেই সমাবেশ হবে অন্যতম বৃহৎ সমাবেশ। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সমাবেশ থেকে আগামী দিনের বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তারেক রহমান অবশ্যই একটি বার্তা দিবেন।’

এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরি এ্যানি, কাজী সাইদুল আলম বাবুলসহ ঢাকা বিভাগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এবারের আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস বিশেষ গুরুত্ব বহন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ উপলক্ষে বিএনপি দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে শহীদদের স্মরণে ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।’

‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের স্মরণ করতেই ১৪ সেপ্টেম্বরের সমাবেশ। সেখানে কথা বলবেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা’ যোগ করেন ডা. জাহিদ হোসেন।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে এই চিকিৎসকনেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ। আওয়ামী লীগ আসলেই একের পর গণমাধ্যম বন্ধ হয়। ইলিয়াস আলীর কবর কোথায়? বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা কোথায়? এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পর নেতাকর্মীরা নিজেদের ভবিষ্যতের আখের গোছানোর জন্য দেশের সম্পত্তিকে পৈতৃক সম্পত্তির মতো করে লুটপাট করেছে। শেখ হাসিনার সরকার ১৪ সালে বিনাভোটে নির্বাচন করেছে, ১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করেছে, ২৪ সালে ডামি নির্বাচন করে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। সেইসাথে নিজের ক্ষমতাকে বাচিয়ে রাখতে সকল প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে।’