সাব্বির হোসেন, যশোর : যশোরে মুজিব সড়কের পঙ্গু হাসাপাতালের বিরুদ্ধে রোগীদের নানা ফাঁদে ফেলে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। পঙ্গু হাসপাতালের মালিক ডা. এইচ এম আব্দুর রউফ তার হাসপাতালে রোগী আনার কাজে ব্যবহার করেন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে। সেখানে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত থাকার সুবাদে কৌশলে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে আসেন তার পঙ্গু হাসপাতালে। আর যারা আসতে অস্বীকৃতি জানায়, তাদের সাথে করেন চরম দূর্ব্যবহার। ছোটখাটো কোন সমস্যা নিয়ে ডাক্তার রউফের পঙ্গু হাসপাতালে গেলেই ফেঁসে যায় রোগীরা। দিনের পর দিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা করাতে বাধ্য হয় রোগীরা। এভাবেই রেল রোডের ভাঙ্গাচুরা ভবনে রোগী ঠকানো চিকিৎসা ব্যবসা চালিয়ে গড়ে তুলেছেন বিশাল হাসপাতাল। রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার সাথে এবার কিছুদিন ধরে যুক্ত হয়েছে রোগীর মৃত্যু। বাড়ছে রোগী মৃত্যুর তালিকাও। এ তালিকায় এবার যুক্ত হলো মণিরামপুরের যুবক মেহেদী হাসানের নাম। প্রাণ আরএফএল কোম্পানীর কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মনিরামপুর পৌর শহরের হাকাবো গ্রামের আকবার আলীর ছেলে। এক কণ্যা সন্তানের জনক মেহেদী হাসান কিছুদিন আগে ছোট্ট একটি দূর্ঘটনায় পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। কয়েকদিন পর সে ডাক্তার রউফের পঙ্গু হাসপাতালে গেলে তাকে অপারেশন করতে হবে জানান ডাক্তার। মোতাবেক অপারেশন করা হয় তার। অপারেশন পরবর্তীতে ব্যাথা অনুভব করলে পঙ্গু হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ঔষুধ প্রয়োগ করলে কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ৩৬ বছরের তরতাজা যুবক মেহেদি হাসান।
এঘটনার পর বেরিয়ে আসতে থাকে ডাক্তার রউফের পঙ্গু হাসপাতালের যত কুকর্ম। ডাক্তার রউফ সব সরকারের আমলে ক্ষমতাসীন নেতাদের ম্যানেজ করে চলেন। যে কারনে কোন সাধারন মানুষতো দুরের কথা প্রশাসনও ব্যবস্থা নিতে শংকা বোধ করেন। টাকা আর ক্ষমতার জোরে ঢাকা পড়ে ডাক্তার রউফ ও তার পঙ্গু হাসপাতালের একের পর এক কুকর্ম। সোস্যাল মিডিয়াতে ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে রউফ ও তার পঙ্গু হাসপাতালের কুকর্ম। বন্ধের দাবি তুলে একরে পর এক প্রতিবাদ জানিয়েছে মানুষ। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল।