মণিরামপুর অফিস।। অপহরনের তিন দিন পর যশোরের মণিরামপুরে ইকরামুল হোসেন (২০) নামের এক কলেজ ছাত্রের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করেছে পিবিআই পুলিশ। ইকরামুল হোসেন উপজেলার মশ্মিমনগর ইউনিয়নের ভরতপুর গ্রামের মালায়েশিয়া প্রবাসী মফিজুর রহমানের ছেলে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে যশোর পিবিআই’র একটি দল হরিহরনগর ইউনিয়নের-মদনপুর গ্রামের মাঠের নিমতলা নামক একটি ডোবার কিনারা থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করে। নিহতের পরিবার সুত্রে জানায়, গত সোমবার ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে অপহৃত হন। এ ঘটনায় ইকরামুলের মা রেশমা খাতুন মঙ্গলবার মনিরামপুর থানায় সাধারণ ডায়ারি (নিখোঁজ) করেন। বুধবার ইকরামুলের স্বজনরা পিবিআই পুলিশের শরনাপন্ন হন। পিবিআই জিডি বুনিয়াদে ছায়া তদন্ত করেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আমিনুর রহমান নামের এক যুবককে আটকের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পিবিআই-এর একটি দল ইকরামুলের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত ইকরামুলের চাচা নুরুজ্জামান ও আসাদুজ্জামান জানান, তার ভাইপো ইকরামুল রাজগঞ্জ কলেজের এইচ এস সির ছাত্র ছিল।সোমবার সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তি মশ্মিমনগর গ্রামে ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর গভীর রাত হলেও বাড়ি না ফেরায় মা রেশমা খাতুন ছেলে ইকরামুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও সেটি বন্ধ পান। পরদিন রেশমা খাতুন মণিরামপুর থানায় জিডি করেন। পরদিন পিবিআই অফিসে গিয়ে ঘটনাটি জানায়। এরপর পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন (পিবিআই)-এর নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হলে হত্যার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। ওসি (পিবিআই) হিরন্ময় সরকার জানান, ভিকটিমের মা রেশমা খাতুন মণিরামপুর থানায় জিডি করার পরদিন পিবিআই-কে অবহিত করেন। যশোর পুলিশ সুপার স্যার রেশমা শারমিন (পিবিআই)-এর নেতৃত্বে পিবিআই আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে মশ্মিমনগর গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে আমিনুর রহমানকে আটক করে। একই সাথে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমিনুর রহমানের ভাই কামরুল ইসলাম এবং আব্দুল কাদেরের ছেলে মেহেদী হাসানকে আটক করে। আটক আমিনুর রহমানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এবং আমিনুরের দেখানো জায়গা থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় মাটির নিচ থেকে ইকরামুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুর তাদেরকে জানিয়েছে গলায় তার পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে ইকরামুলকে হত্যা করা হয়েছে। কি কারনে এমন খুনের ঘটনা ঘটেছে তা আরও তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে জানান পিবিআই’র এই কর্মকর্তা।