খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ আগস্ট ২১, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 4446 বার
সাঈদ ইবনে হানিফ: বাঘারপাড়া: চরম বৈষম্যের মধ্যে সীমাহীন জুলুম নির্যাতনের পথ অতিক্রম করে দীর্ঘ ১৬বছর পর সম্প্রীতির সমাবেশ সমাবেশ করেছে বাঘারপাড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিজয়ের মধ্যে দিয়ে তাদের এই পথ সূচিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
২১ আগস্ট বিকালে উপজেলার চৌরাস্তা মোড়ে ছাত্র জনতার আন্দোলনের ফসল দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ের পর সংঘাত সহিংসতা মুক্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিরপূর্ণ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে সম্প্রীতির ব্যানারে এই সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির।
সমাবেশে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যশোর সাংগঠনিক জেলা, আমির, অধ্যাপক গোলাম রসুল, বিশেষ অতিথি ছিলেন, সেক্রেটারি অধ্যাপক মোঃ গোলাম কুদ্দুস, বাঘার পাড়া উপজেলার আমির,অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম অধ্যাপক আশরাফ আলী বোরহানউদ্দিন, শেখ আব্দুল হালিম, ছাত্র নেতা রাকিব হাছান ও মহিবুল ইসলাম,সহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে জাতি এক ভয়াবহ ফ্যাসিস স্বৈরাচারী শাসকের কবল থেকে মুক্ত হয়েছে। দীর্ঘ বছর ধরে প্রায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এক চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছিল। জাতি এই অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় খুজছিল। অবশেষে হাজার ও ছাত্র জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে গোটা জাতি আজ সেই পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশের আকাশে উদিত হয়েছে এক নতুন সূর্যের।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আবহমান কাল থেকে বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। কিন্তু একটি (দল চক্র) বারবার সেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা চালিয়েছে। আর বিভিন্ন খোঁড়া অযুহাতে দোষ চাপানোর অপচেষ্টা চালিয়েছে এদেশের ইসলামপন্থী আলেম সমাজের উপর। যেসব ঘটনা ছিল সময়ের শ্রেষ্ঠ মিথ্যাচার। এজন্য আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে কোন দুষ্কৃতীচক্র যেন কোন ভাবেই আমাদের চারপাশে বসবাস কারি হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতির সঞ্চার না ঘটাতে পারে। মনে রাখতে হবে প্রতিবেশী যে ধর্মেরই হোক না কেন তাদের ভালো মন্দ খোঁজ খবর নেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাই প্রতিহিংসা নয়, আজ থেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, সংঘাত, সহিংসতা পরিহার করে সকলের সাথে সম্প্রীতিপূর্ণ আচরণের মধ্যে দিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ ইনছাব ভিত্তিক সমাজ গঠনে আত্মনিয়োগ করতে হবে। তবেই ছাত্রজনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে দ্বিতীয় স্বাধীনতার মধ্যে দিয়ে আমরা যে দেশ পেয়েছি আগামী দিনের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বাংলাদেশ হবে সকলের জন্য একটি বৈষম্য মুক্ত সোনার বাংলাদেশ।