স্টাফ রিপোর্টার : গত ৫ আগষ্ট বিগত আওয়ামী লীগের সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সারাদেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

লুটপাট, ডাকাতি, হত্যা, অগ্নিসংযোগ সহ সারাদেশের প্রায় ৫০০ থানায় হামলা হয়। অধিকাংশ থানা ভবন ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ বাহিনী জনতার ক্ষোভের মুখে অসহায় ভাবে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।

এতসব ঘটনার মধ্যে ব্যতিক্রম ঝিকরগাছা থানা। এখানে দুষ্কৃতকারীরা থানা ভাঙার চেষ্টা করলেও সেই চেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছে ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এই কাজ করে তারা সাধারণের প্রশংসায় ভাসছে। ঘটনার দিন সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া ঝিকরগাছা পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নুরুন্নবী খান শিপন বলেন, ৫ আগষ্ট বেলা ৩টার দিকে আমরা বিজয় মিছিল শেষ করে পারবাজার থানার মোড়ে এসে দাঁড়ায়। আমার সাথে তখন মিজান, শফি, রিপন, জনি সহ আরও কয়েকজন যুবদল কর্মী উপস্থিত ছিলো। এসময় আরেকটি মিছিল নিয়ে কিছু লোক থানার গেইটে আক্রমণ করে। তারা থানা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। আমরা তাদেরকে প্রতিহত করি। এভাবে আরও ৩বার তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসে থানায় হামলা করার চেষ্টা করে। এদেরকে আমরা আগে কখনও আমাদের এলাকায় দেখিনি। সবাই অপরিচিত ছিলো। এমন সময় উপজেলা বিএনপির সদ্য স্থগিত হওয়া কমিটির আহবায়ক মোর্তজা এলাহী টিপু, এনামুল হক, সাবেক কাউন্সিলর গোলাম কাদেের বাবলু, ঝিকরগাছা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোনাজ্জেল হোসেন লিটন, সদস্য সচিব নাজমুল হক নাজু, পৌর যুবদলের আহবায়ক কমল, ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আশরাফুল আলম রানা সহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হলে আমরা সবাই মিলে হামলাকারীদের থানার সামনে থেকে সরিয়ে দিয়ে ঝিকরগাছা থানাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করি।

ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির স্থগিত হওয়া কমিটির আহবায়ক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোর্তজা এলাহী টিপু বলেন, সেদিন কিছু লোক ঝিকরগাছা থানায় হামলা করে ক্ষতিসাধন করতে চেয়েছিল কিন্তু আমরা সম্মিলিত ভাবে তাদের সেই চেষ্টাকে নস্যাৎ করে দিয়েছি। এছাড়াও ঝিকরগাছা বাজার সহ আশেপাশের এলাকাতেও যাতে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বলে জানান বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।