জেলা প্রতিনিধি,খুলনা: তেরখাদা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক সংখ্যালঘু পরিবারের বাক প্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে।

গত ২ আগস্ট রাতে উপজেলার বলদ্ধনা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। রবিবার ঘটনার প্রতিবাদ এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে তেরখাদা সুপার মার্কেটের সামনে মানববন্ধন করেছে সাধারন ছাত্র সমাজ। তেরখাদা-খুলনা সড়কে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে যোগ দেন উপজেলার স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণ।

সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত দুই ঘন্টা মানববন্ধনে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানান তারা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা সবাই এই আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করছি। আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি। ধর্ষণকারী লায়েব মেম্বারসহ অন্যদের দ্রুত প্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ধর্ষকদের আশ্রয়দাতা উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ সহ থানা পুলিশের নিষ্কৃয় ভূমিকার কারনে ওসির প্রত্যাহারের দাবী জানান। তারা বলেন, ঐদিন বলদ্ধনা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোঃ লাযেব শেখ আরো দুই তিন জনকে নিয়ে বাক প্রতিবন্ধী ওই নারীকে ধর্ষণ করে।

যা পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসান মুসল্লী ধামাচাপা দিতে চান। এর আগে ঘটনার পর থানায় মামলা দিতে গেলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে মামলা নেয়নি পুলিশ। পরবর্তীতে দেশের পট পরিবর্তন হওয়ার পর সাধারন ছাত্র-জনতার চাপের মুখে মামলা নিতে বাধ্য হয় থানা পুলিশ। ভূক্তভোগি নারীর পিতা গত ১৫ই আগস্ট ইউপি সদস্য মোঃ লায়েব শেখ ও তার সহযোগী অজ্ঞাত আরো দুই তিন জনকে আসামি করে থানয় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

মানববন্ধনে এলাকার ছাত্রসমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসন তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) এস.এম. আলমগীর কবির জানান, এ ঘটনায় এনায়েত মজুমদার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে।