রাসেল আহমেদ,খুলনা:তেরখাদার বিভিন্ন এলাকায় উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টহলে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

জানা গেছে, ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তেরখাদা উপজেলা বিভিন্ন স্থান কিছু হামলা,দখল, চাঁদাবাজী ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। মাঠে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী না থাকার সুযোগে দুষ্কৃতিকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতা কর্মীরা ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে বিরাজ করে হামলা,লুটপাট আতঙ্ক। এদিকে পশ্চিম কাটেংগা এলাকার মো: মিজানুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে তার স্ত্রী। ভয়ে তিনি পরিবার নিয়ে এখনও বাড়ি ছাড়া রয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর এলাকায় ব্যাপকভাবে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে থাকে।শিক্ষার্থী, বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। অবশেষে উপজেলা সদরে অস্থায়ী সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ও থানা পুলিশ কর্মবিরতির পর ব্যাপক নজরদারি ও টহলের ফলে ধীরে ধীরে জনমণের শঙ্কা কেটে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।

এ বিষয়ে তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে।কেউ কোথাও বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে সেটা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। বিশৃংখলাকারীরা যে দলের হোক তাদের কঠোর হস্ত দমন করা হবে। তারা দেশের শত্রু, তারা জনগণের শত্রু।