খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ আগস্ট ১৩, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 858 বার
আসাদুজ্জামান আসাদ। বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি পুরোদমে শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভারতের পেট্রাপোল ও বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি রপ্তানি শুরু হয়।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ, টমেটো ও রুই-কাতলা জাতীয় মাছের আমদানি বেড়েছে।তবে সার্বিকভাবে আমদানি রপ্তানির পরিমান কমেছে।
বন্দর চালু হওয়ার পর আড়াই দিনে পেট্রাপোল বন্দর থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে এসেছে ৬৩৯টি ট্রাক।রপ্তানি পণ্য নিয়ে ৩৯৫টি ট্রাক ভারতে পেট্রাপোল বন্দরে গেছে।এসময় বন্দর থেকে খালাসকৃত আমদানি পণ্য নিয়ে ৮৭৯টি বাংলাদেশি ট্রাক বন্দর ছেড়েছে বলে বন্দর পরিচালক জানান।
বন্দর কর্তৃপক্ষ ও শুল্ক কর্মকর্তারা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ের মতো অফিস খোলা হচ্ছে। দ্রুত পণ্যচালান খালাসের জন্য তারা সব সময় প্রস্তুত। এ জন্য শুল্কায়নসহ সকল কাজকর্ম করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আমদানি রপ্তানি চালু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত রপ্তানি পণ্য নিয়ে ১৬৪টি ট্রাক ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে গেছে।আর ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে ৩০৪টি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে ঢুকেছে,এরমধ্যে কাঁচামাল আছে ৭৫টি ট্রাকে।
বৃহস্পতিবার রপ্তানি হয়েছে ১২৮৭ দশমিক ১৭৭ মেট্রিক টন পণ্য এবং আমদানি হয়েছে ৬৮২৮ দশমিক ৮৩৭ মেট্রিক টন পণ্য।আমদানি পণ্য চালানের মধ্যে ১৭৭৩ দশমিক ১১৭মেট্রিক টন কাঁচামাল রয়েছে।
এদিন বন্দর থেকে ৮১৩টি বাংলাদেশি ট্রাক ও ৩৯টি ভ্যান ৭৮০৮ দশমিক ৯৯৭ মেট্রিকটন আমদানি পণ্য নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে ঢুকেছে।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকলেও শনিবার আমদানি রপ্তানি চালু থাকে।
শনিবার সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে ১৭০ ট্রাক পণ্য।আর ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৫৯ টি পণ্য।এরমধ্যে কাঁচামাল আছে ৫৪ টি ট্রাকে।
এদিন রপ্তানি হয়েছে ১৪১৬ দশমিক ৮ মেট্রিক টন পণ্য এবং আমদানি হয়েছে ৪৮৭৬ দশমিক ১১৮ মেট্রিক টন পণ্য।আমদানি পণ্য চালানের মধ্যে ১২৪৫ দশমিক ৭৪৬ মেট্রিক টন কাঁচামাল রয়েছে।
এদিন বন্দর থেকে ৬৬টি বাংলাদেশি ট্রাকে ৪৯৬ দশমিক ৪৫০ মেট্রিকটন আমদানি পণ্য নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে ঢুকেছে।
রোববার সকাল থেকে দুপুর (বেলা ১২টা) পর্যন্ত রপ্তানি পণ্য নিয়ে ৬১টি ট্রাক ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে গেছে।আর ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে ঢুকেছে ৭৬টি ট্রাক।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, ২০১৭ সালের ১অগাস্ট থেকে বেনাপোল ও পেট্রাপোলের মধ্যে ২৪ ঘণ্টার বাণিজ্য পরিষেবা শুরু হয়। তার আগে অবশ্য সকাল-সন্ধ্যা বাণিজ্য কার্যক্রম পরিচালিত হত।সেসময়
প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৬০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি ও ২০০-২৫০ ট্রাক পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়ে আসছিল।
“ভারতের সঙ্গে কিছুদিন ধরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।এতে পণ্য আমদানি কমে ৩৫০-৪৫০ ট্রাকে দাড়িয়েছে।”
বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কলিম উল্যা কলি বলেন,এখন আমরা একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থার মধ্যে আছি। বন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিকরা কর্মব্যস্ত দিন পার করছে। বন্দরে পণ্য উঠানামা কাজে তাদের ব্যস্ততা বেড়েছে।
বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম বলেন,আজকে আমদানি রপ্তানি ও পণ্য খালাস বেশি হবে।পচনশীল পণ্য বেশি পাঠানোর জন্য ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ব্যবস্থাপক ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের তাগিদ দেওয়া হয়েছে কিন্তু তাঁরা সাধারণ পণ্যের আনুপাতিক হারে পচনশীল পণ্য পাঠাতে বেশি আগ্রহী।