বিল্লাল হোসেন, ভালুকা(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় রাজ বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রয় করছে মাদকদ্রব্য গাজার ব্যবসা। প্রতিনিয়ত হচ্ছে গরুর চুরিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতাও। এর পরও মেদুয়ারী গ্রামের আলমের মত বেশকিছু মাদকদ্রব্য গাঁজার ব্যবসায়ীরা থেমে নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আশঙ্কাজনক অবনতিতে জননিরাপত্তা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। চরম নিরাপত্তাহীনতায় মানুষকে এক দমবন্ধ আতঙ্কের মধ্যে বাস করতে হচ্ছে। একের পর এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেই চলেছে। আর প্রতিদিনই তাতে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন মাত্রা। উপজেলার মেদুয়ারী, ভরাডোবা,উথুরাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে হয়েছে। গরু চুরি ও একটি ভাইরাস গাড়িসহ বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা গড়তেই চলেছে। শৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন নেই কোনো তৎপরতা। ভালুকা পৌরসভার বেশ কিছু বাসায় চালানো হচ্ছে, দেহ ব্যবসা। পরস্পরবিরোধী গ্রুপের ক্ষমতায় গত দুই বছর পূর্বে উপজেলার ভরাডোবা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার নির্মাণকৃত একটি বাসা জোরপূর্বক দখলে নিয়ে নেয়।পরক্ষনে ভুক্তভোগী বাচ্চু মিয়া উপজেলা জনপ্রতিনিধি, উপজেলা নেতাকর্মী ও শৃঙ্খলা বাহিনীসহ ভুক্তভোগী বিচারের আশায় অবগত করেও আদৌ কোনো সুরাহা এখনো হয়নি। ভুক্তভোগী ঘুরছে দ্বারে দ্বারে। এমনিভাবেই আরও একজন ভুক্তভোগী ইসলাম নামে। মেদুয়ারী ইউনিয়নের পানিভান্ডা গ্রামে, জোরপূর্বক দখল করে নেয় বাড়ি পাইনি কোনো পত্রিকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এ অবনতি রোধ করতে পারছে না আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। কোথাও রাজনৈতিক কারণে, কোথাও ব্যবসায়িক কারণে ঘটনা ঘটছে। কোথাও ব্যবহার করা হচ্ছে ভাড়াটে গ্রুপের সংঘবদ্ধচক্র। সামান্য ঘটনায়ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিতীয়বার ভাবছে না কেউ। সমাজের বেশির ভাগ মানুষই যেন আজ মানবিক বোধশূন্য।

বলার অপেক্ষা রাখে না, আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির প্রধান কারণ হচ্ছে রাজনীতি। অপরাজনীতির ছত্রচ্ছায়ায়, আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে সন্ত্রাসীরা সংগঠিত হয়। কিছু রাজনৈতিক নেতা নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ আছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তব্যে অবহেলা। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এমনভাবে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয় যে অপরাধীরা সহজেই আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে এসে আবার অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হয়। এভাবে সমাজে বাড়ছে অপরাধপ্রবণতা। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে রাজনৈতিক সদিচ্ছার পরিচয় দিতে হবে। অপরাধী যে-ই হোক, তার একমাত্র পরিচয় সে অপরাধী। রাজনৈতিক বিবেচনা নয়, অপরাধ বিবেচনা করে
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তৎপর হতে হবে, অন্যথায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যেভাবে হচ্ছে, এ থেকে উদ্ধারের কোনো পথ পাওয়া যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেই এ ব্যাপারে প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি রোধ করা যাবে না।