যশোর অফিস : যশোর শহরের পুরাতন কসবা গোলামপাট্টি এলাকায় ইজিবাইক ব্যবসায়ী আলম (৪৮) হত্যার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের ছোটভাই মুরাদ হোসেন ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেছেন।

আসামিরা হলো, পুরাতন কসবা কাজীপাড়া গোলাম পট্টির মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে আমিরুল (৩৮), শহিদুল কাঠ মিস্ত্রির দুই ছেলে সোহাগ (২৭), সোহান (২৫), ফারুকের ছেলে আইজুল (২২), মৃত লোকমান ড্রাইভারের ছেলে বাবলু (২৪), কাজীপাড়া তেতুঁল তলার মালেক মহুরীর ছেলে রনি (৩০) এবং খোলাডাঙ্গা সরদার পাড়ার সিরাজুল ইসলাম চণ্টু মিয়ার ছেলে পিয়ারুজ্জামান পিরু (৩৫)।

মুরাদ হোসেন এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তিনি পুরাতন কসবা কাজীপাড়ার রসুলের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তার ভাই আলম ইজিবাইকের ব্যবসায়ী। এক বছর আগে (২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি) তার মেজো ভাই কোরবান আলী পচাঁকে (৪২) হত্যা করেছিল আসামিরা। এই মামলায় তার বড় ভাই সাক্ষী ছিলেন। সাক্ষী হওয়ার কারণে আসামিরা প্রায় সময় তার ভাই মুরাদকে হুমকি দিতো। মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখাতো। গত ২৪ মার্চ বিকেল তিনটার দিকে তার বড় ভাই আলম বাড়ি থেকে বের হয়ে গোলামপট্টি এলাকার আঞ্জুমানআরা স্কুলের পেছনে যায়। সেখানে গেলে আসামিরা তার চারপাশ ঘিরে ধরে। এরপর ধারালো দা, চাকু দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। লোহার রড, জিআই পাইপ, হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এ সময় চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎধীন অবস্থায় গত রোববার ২৭ মার্চ তিনি মারা যান।