যশোর অফিস : যশোরের বাঘারপাড়ায় স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী সুরাইয়া খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ। স্বামী লাল্টু মন্ডল (২৫)কে শ্বাসরোধ করে হত্য করে স্ত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ সুরাইয়াকে আটক করেছে। তিনি পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীকে বালিশ চাপা ও গলায় রশি দিয়ে হত্যা করেছেন বলে পুলিশ ও আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

পুলিশ জানান, রোববার রাত ১২টার পরে বাঘারপাড়া উপজেলার দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বাঘারপাড়া থানার ওসি ফিরোজ উদ্দীন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মনিরুজ্জামান ওরফে মিন্টু বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেছেন।

স্থানীয় সূত্র জানান, রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে সুরাইয়া খাতুন তার শাশুড়িকে ডেকে জানান, লাল্টু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বিষয়টি জানার পর নিহতের বড়ভাই মনিরুজ্জামান মিন্টু এবং মা ঘরের মধ্যে যেয়ে দেখেন, লাল্টুর মরদেহ মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় রয়েছে। দ্রুত তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি মৃত ঘোষণা করেন।

বাঘারপাড়া থানার ওসি ফিরোজ উদ্দীন জানান, লাল্টু যশোর বিমান বাহিনীর ব্যাটম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ছুটিতে বাড়িতে আসলে গহনা সংক্রান্ত বিষয়ে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হয়। লাল্টু সেই সময় স্ত্রীকে মারপিটও করেন। তারই জের ধরে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে স্ত্রী বালিশ চাপা ও গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। বিষয়টি স্ত্রী সুরাইয়া পুলিশের কাছে স্বীকারও করেছেন।

ওসি আর জানান, আট মাস আগে এ দম্পতির বিয়ে হয়েছিল। সুরাইয়াকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্যে মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। আটক সুরাইয়া খাতুন যশোর সদরের কেফায়েতনগর গ্রামের ইউনুছ মোল্যার মেয়ে।

সুরাইয়াকে সোমবারই আদালতে সোপর্দ করা হয়। তিনি আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে বলেন, স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় তিনি তাকে হত্যা করেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল মঞ্জুরুল ইসলাম আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।