নিজস্ব প্রতিবেদক : বেনাপোল বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে।স্বাভাবিক হয়েছে সকল কাজকর্ম।

৫দিনে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে ঢুকেছে ১৪১৪টি ট্রাক ও ভারতে গেছে রপ্তানি পণ্য নিয়ে ৪৯৩টি ট্রাক জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

অন্যান্য সময়ের মত পণ্য আমদানি রপ্তানি, আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপারসহ বন্দর ও কাস্টমসের সকল কাজকর্মে গতি ফিরেছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ ও শুল্ক কর্মকর্তারা বলছেন, আমরা স্বাভাবিক সময়ের মতো অফিস খোলা রেখেছি। দ্রুত পন্যচালান খালাসের জন্য আমরা সব সময় প্রস্তুত। এজন্য শুল্কায়নসহ সকল কাজকর্ম করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ২৩ জুলাই থেকে ২৮জুলাই পর্যন্ত ৫দিনে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে ঢুকেছে ১৪১৪টি ট্রাক ও ভারতে গেছে রপ্তানি পণ্য নিয়ে ৪৯৩টি ট্রাক।

২৩ জুলাই মঙ্গলবার আমদানি হয়েছে ৩৭ট্রাক পণ্য, রপ্তানি হয়েছে ৩৬ট্রাক পণ্য। ২৪জুলাই বুধবার আমদানি হয়েছে ৩৩৮ট্রাক পণ্য, রপ্তানি হয়েছে ৪২ট্রাক পণ্য। ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার আমদানি হয়েছে ৩৬৬ট্রাক পণ্য, রপ্তানি হয়েছে ৯৭ট্রাক পণ্য। ২৭জুলাই শনিবার আমদানি হয়েছে ৩৪৮ট্রাক পণ্য, রপ্তানি হয়েছে ১৮৩ট্রাক পণ্য। ২৮ জুলাই রোববার আমদানি হয়েছে ৩২৫ট্রাক পণ্য, রপ্তানি হয়েছে ১৩৫ট্রাক পণ্য।

ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৬০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি এবং ২০০ ট্রাক পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়ে থাকে। আমদানি পণ্য থেকে দিনে সরকারের রাজস্ব আসে ৩০ কোটি টাকার মতো।

“ভারতের সাথে কিছুদিন ধরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে পণ্য আমদানি কমেছে, এতে পেট্রাপোল বন্দরে পণ্যজট তৈরি হয়েছে। ফলে ১০ চাকার ট্রাকে দেড় হাজার ও ৬ চাকার ট্রাকে ১ হাজার রুপি মাশুল গুনতে হচ্ছে প্রতিদিন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশি আমদানিকারকেরা।”

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি আজহারুল ইসলাম বলেন, বেনাপোল পেট্রাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে দু’দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের চাইতে যাত্রী পারাপার কিছুটা কম।

বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ৮৯১) সভাপতি আক্তারুজ্জামান বলেন, এক সপ্তাহ ধরে থেমে থেমে বৃষ্টির কারনে হ্যান্ডেলিং শ্রমিকরা স্বস্থ্যির সাথে পণ্য উঠানামার কাজ করতে পারছেন না।

শ্রমিকদের অপর সংগঠন বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ৯২৫) সভাপতি রাজু উদ্দিন বলেন, আমদানি পণ্য বন্দরের গুদামে নামানোর কাজ চলছে তবে বন্দর থেকে পণ্য খালাশ কম হচ্ছে।

“বন্দরে পণ্যজট কমাতে দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে” জানিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় বন্দরের আমদানি-রপ্তানি একেবারে বন্ধ ছিল না। ম্যানুয়ালী চালু ছিল। ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও ২০ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই বেনাপোল স্থলবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম ম্যানুয়ালি চালু ছিল এবং এ সময় আমদানিকৃত পঁচনশীল পণ্য বন্দর হতে দ্রুত খালাসের কার্যক্রম সচল ছিল। ২৪ জুলাই বুধবার হতে ইন্টারনেট সচল হওয়ায় বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয় এবং বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম পুনরায় অটোমেশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে চালু করা হয়। বর্তমানে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল ও স্বাভাবিক আছে।