স্টাফ রিপোর্টার ঃ যশোর সরকারি সার গুদামে আসা ৭২ মেট্রিক টন টিএসপি সার ল্যাব টেস্টের পর নকল বলে প্রমাণিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন টিএসপি কমপ্লেক্সের এমডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুপারিশ ও করা হয়েছে।
এ বিষয়ে, যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুরে অবস্থিত বিসিআইসি নিয়ন্ত্রিত বাফার গুদামের ইনচার্জ আক্তারুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত ১৭ মার্চ বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) যশোর গুদাম চত্বরে এসে পৌঁছায় পাঁচটি ট্রাকে ৭২ মেট্রিক টন টিএসপি সার। সৈয়দ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার টিএসপি সার কারখানা থেকে সারগুলো এখানে আসে। এসময় ট্রাক বোঝাই থাকা সার দেখে সন্দেহ হলে তিনি খালাস বন্ধ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে তার সন্দেহের বিষয়টি জানান। ওই দিনই টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডে লিখিত আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ট্রাকসহ সারগুলো জব্দ করার নির্দেশ দেন। এবং আপাতত সার খালাস না করে ট্রাকসহ গুদামের বাইরে রাখার নির্দেশ দেন।

আক্তারুল ইসলাম আরো জানান, গত ২১ মার্চ টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি যশোরে এসে জব্দকৃত সারের নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের সার কারখানার পরীক্ষাগারে নিয়ে যায়। এঘটনায়, তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন, টিএসপি কমপ্লেক্সের উপপ্রধান রসায়নবিদ রেজাউল ইসলাম। অন্য দু’জন হলেন উপপ্রধান হিসাবরক্ষক নির্মল কুমার দত্ত ও ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) শফিকুল ইসলাম।

তদন্ত কমিটির সদস্য নির্মল কুমার দত্ত জানিয়েছেন, ‘ল্যাব টেস্টে দেখা গেছে, সব সারই ভেজাল। আমরা ধারণা করছি, সড়ক থেকে আসল সার নামিয়ে এই ভেজাল সার উঠানো হয়েছে। আমরা টিএসপির এমডির কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছি।’টিএসপির এমডি মিজানুর রহমান এ বিষয়ে বলেন,‘তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।