রাসেল আহমেদ,খুলনা জেলা প্রতিনিধি : খুলনার তেরখাদা উপজেলার হাট-বাজার গুলিতে বৃষ্টির অজুহাত দিয়ে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশিরভাগ সবজি কিনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে কৃষক জমি থেকে সবজি সংগ্রহ করতে পারছেন না। অনেক সবজি নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া টানা বৃষ্টিতে পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় সবজি বাজারে আসতে সময় লাগছে। এসব কারণে দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

উপজেলা সদরের কাটেঙ্গা,জয়সেনা ও তেরখাদা বাজার সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি সবজির দাম ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

বাজারে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, লতি ৭০-৮০ টাকায, করলা ১০০-১২০ টাকা ও বরবটি ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের দাম মাঝে কেজিপ্রতি ১৬০-১৮০ টাকা হয়েছিল, এখন তা আবার বেড়ে ২২০থেকে ২৩০ টাকা হয়েছে। 

সবজির সঙ্গে নতুন করে বেড়েছে পেঁয়াজের। ১০০ ছাড়িয়ে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। যে পেঁয়াজ গত সপ্তাহে ৯০ টাকা ছিল। দেশি হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে।

শাকের দামও বেড়েছে। যে শাক ১০ টাকা ছিল, সেটা এখন ২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

ঢেঁড়স, ধুন্দুল ও চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, ঝিঙ্গা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, শসা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় এবং লাউ প্রতিটি ৬০থেকে ৭০ টাকা, চালকুমড়া প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারও চড়া। ১ কেজির ইলিশের দাম ১৪০০ টাকা। ২২০ টাকার তেলাপিয়ার দাম ২৫০-৩০০ টাকা, ২৩০ টাকার পাঙাস ২৫০ টাকা। এছাড়া রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। পাবদার দাম ৪০০-৪৫০ টাকা।

মুরগীমের দাম অপরিবর্তিত আছে। বয়লারের কেজি ১৭০ আর সোনালী বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা। গরুর মাংসের কেজি কোথাও ৭৫০ টাকা, কোথাও ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ডিম দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে।