গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : আজ ২৯ জুন, ক্যামেরা দিবস। অবশ্য কবে কীভাবে এই দিবসের চল হয়েছে, সঠিকভাবে তা জানা যায় না।

মোবাইল ফোনের দৌলতে ক্যামেরা এখন মানুষের হাতে হাতে। এ পর্যায়ে আসতে যন্ত্রটিকে পাড়ি দিতে হয়েছে বহু বছর

স্মৃতি ধরে রাখতে ক্যামেরার আদর্শ বিকল্প নেই। এখনকার জীবনে প্রতিদিনই হচ্ছে এই যন্ত্রের ব্যবহার।

একটি স্থিরচিত্র অনেক কথার চেয়েও শক্তিশালী। একটি ছবি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষের কাছে কতটা প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকতে পারে ইতিহাসে রয়েছে তার অসংখ্য নজির।

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে, ঘটনার সাক্ষ্য-প্রমাণ হিসেবে, বিভিন্ন তদন্তে-গবেষণায় ক্যামেরায় তুলে রাখা একটি ছবি খুলে দিতে পারে অনেক কিছুর জট।

এখনতো মোবাইল ফোনের দৌলতে ক্যামেরা মানুষের হাতে হাতে। এ পর্যায়ে আসতে বস্তুটিকে পাড়ি দিতে হয়েছে বহু বছর।

ইতিহাস বলছে, ৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে চীনে প্রথম প্রচলন ঘটে ক্যামেরা অবস্কিউরার। ১৮২৫ খ্রিষ্টাব্দে আধুনিক যুগে প্রবেশ করে ক্যামেরা। তখন ক্যামেরা অবস্কিউরা ব্যবহার করে ফরাসি বিজ্ঞানী জোসেফ নিসেফোর নিপ্‌সে প্রথম ছবি সংরক্ষণের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।

এরপর নানা বিবর্তনের পথ পেরিয়ে ক্যামেরা পেয়েছে বর্তমান রূপ। মাঝে স্থিরচিত্র থেকে চলচ্চিত্র হয়েছে, নির্বাক থেকে সবাক, সাদা-কালো থেকে রঙিন। একক ও পৃথক যন্ত্র থেকে মোবাইল ফোন কিংবা বিভিন্ন গ্যাজেটে সমন্বিত হয়েছে এখন। এসবের প্রতিটি ধাপেই আছে অনেক বিজ্ঞানীর স্পর্শ।

যাই হোক, আজ ২৯ জুন, ক্যামেরা দিবস। অবশ্য কবে কীভাবে এই দিবসের চল হয়েছে, সঠিকভাবে তা জানা যায় না।

তবে দিনটি কিন্তু পালন করা যেতে পারে। ক্যামেরা কিংবা মোবাইল ফোন নিয়ে ছবি তুলতে বেরিয়ে পড়তে পারেন। এর পাশাপাশি শিখে নিতে পারেন ফটোগ্রাফির দুর্দান্ত কিছু কৌশল।

আজকের দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন আপনার প্রিয় ক্যামেরা কিংবা প্রথম ক্যামেরার গল্প।