রাসেল আহমেদ, খুলনা জেলা প্রতিনিধি: খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলাতে এ বছর বোরো মৌসুম শেষ হলেও ধানের দাম বৃদ্ধি না পাওয়ায় হতাশ কৃষক।

গত বছরের তুলনায় উৎপাদন খরচ বেশি হলেও এ বছর মণ প্রতি দাম ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত কম পেয়েছেন তারা। সেচ, সার ও কীটনাশকের মুল্য অনেক বাড়লেও বাড়েনি ধানের দাম। ফলে দুদিক থেকেই ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা।

তেরখাদা উপজেলা সদরের কাটেংগা, জয়সেনা ও তেরখাদা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, হীরা-১, হীরা-২, ব্যাবিলন, ব্রি-২৮ এসব জাতের ধান ৯০০ থেকে ১০২০ টাকা মন বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা সদর এলাকার কৃষক মোস্তাফিজুর শেখ বলেন, বাজারে ধানের আমদানি প্রচুর কিন্তুু ধানের দাম ভালো নেই। ধানের যে দাম চলছে এ দাম হিসাবে তো পেষায় না, গোটা ধানের মৌসুমে কোন বৃষ্টিনাই আর এক বিঘা জমির ধান কাটতে ৭ হাজার টাকা লেগেছে। ধানের দাম চলছে হাজার টাকা মন। তো জমির মালিককে কি দিব আর আমার বা কি থাকবে। জমি যদি নিজের হয় তাহলে কিছুটা পোষায়, কিন্তু আমরা তো অন্যের জমিতে আবাদ করি। কি করে পোষাইবে, এবার শুধু খরচ আর খরচ।

উপজেলার বারাসাত এলাকার কৃষক বাচ্চু তরফদারসহ বেশ কয়েকজন কৃষকদের অভিযোগ, যে সময় কৃষকের হাতে ধান থাকে সেই সময় ধানের দাম সবচেয়ে কম থাকে। কৃষকের হাত থেকে ধান ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেলে ধান-চালের দাম শুধু বাড়তেই থাকে। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে ধানের প্রচুর আমদানি হওয়ায় বাজার মুল্য কমে গেছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৪৬৫ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৯৭৫২ মে. টন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শিউলী মজুমদার বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ধানের দাম একটু কম হওয়ায় কৃষকরা কম লাভবান হচ্ছে বলে তিনি জানান।