সিলেট প্রতিনিধি || সিলেটের চলমান বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় সাদাপাথর, জাফলংসহ কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার সব পর্যটন কেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং, বিছানাকান্দি, জলাবন রাতারগুল, পান্থুমাই এবং কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর, উৎমা ছড়াসহ জনপ্রিয় পযর্টনকেন্দ্রে পর্যটকেরা আপাতত যেতে পারবেন না।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৮ জুন) গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গোয়াইনঘাটে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় জনস্বার্থে এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পর্যটনকেন্দ্রগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে।’

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিৎ কুমার সিংহ বলেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় জননিরাপত্তার জন্য মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে উপজেলা পর্যটন কমিটির সভায় উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’

টাঙ্গুয়ার হাওরসহ পর্যটনস্পট বন্ধ
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি ঘটায় জনস্বার্থে ও জন নিরাপত্তা বিবেচনায় দেশের অন্যতম পর্যটনস্পট টাঙ্গুয়ার হাওরসহ তাহিরপুর উপজেলার সব স্পট বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভীনের (ইউএনও) ফেসবুক পেজে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

গত ১৬ জুন রাত থেকে সুনামগঞ্জে ভারি বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা, দোয়ারাবাজার, ছাতক, তাহিরপুর, ধর্মপাশা-মধ্যনগর, বিশ্বম্ভরপুর, জগন্নাথপুর উপজেলা বন্যাকবলিত। এ সব উপজেকার শতাধিক গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাছাড়া জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা সড়ক ডুবে জেলা শহরের সঙ্গে তাহিরপুর উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

সুনামগঞ্জের সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটা, চলতি, চেলা, খাসিয়ামারা নদীসহ জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে।

তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা পারভীন বলেন, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত তাহিরপুর উপজেলার সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।