খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ মে ১৫, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 5593 বার
শেখ কাজিম উদ্দিন : যশোরের শার্শা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জেল হোসেন বাবলু আর নেই।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টা ৫৫ মিনিটের সময় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাষ ত্যাগ করেন (ইন্না নিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) ।
মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৮ বছর। এসময়ে তিনি স্ত্রী, ৪ মেয়ে ও ১ ছেলেসহ নাতী-নাতনি ও পোতা-পুতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখেগেছেন। মৃত্যুর পূর্বমুহুর্ত পর্যন্ত তিনি যশোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের নির্বাহি সদস্য ছিলেন।
বুধবার দুপুরে মরহুমের বেনাপোলের বাড়ি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মাননাসহ যানাজা হয়ে আছর নামাজ বাদ গ্রামের বাড়ি বাহাদুরপুর বাওড়কান্দায় দ্বিতীয় যানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
এদিকে শ্রদ্ধাভাজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জেল হোসেন বাবলু চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে গভীর শোক, মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও শোকাহত পরিবারের সাথে সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন যশোর-১ (শার্শা) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জেল হোসেন বাবলু চেয়ারম্যান ছিলেন আওয়ামীলীগের প্রাণ। আওয়ামীলীগের দূর্দিনের সময় তিনি শক্ত হাতে নৌকার হাল ধরেছেন। দলকে এগিয়ে নিয়ে মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত ছিলেন তিনি নিবেদিত প্রাণ। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তৃর্ণমূলের একজন গর্বিত সদস্যকে হারাল।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জেল হোসেন বাবলু চেয়ারম্যানের মৃত্যুর সংবাদে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ঢাকা থেকে দুপুরে লাশ বেনাপোলের বাড়িতে পৌঁছালে সন্তানদের আহাজারিতে এলাকার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। জোহরের নামাজের পর শার্শা উপজেলা প্রশাসন ও বেনাপোল পোর্ট থানার পক্ষ থেকে মরহুমের শরীর উপর জাতীয় পতাকা রেখে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদাণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাফর হোসেন, বেনাপোল পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ-আলম হাওলাদার, বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন ভক্তসহ উপজেলার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক নেতাকর্মী ও সূধীবৃন্দ।