আব্দুল্লাহ আল-মামুন, স্টাফ রিপোর্টার : শার্শার পল্লীতে ছোট ভায়ের স্বাক্ষর জাল করে জমি রেজিস্ট্রী করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বড় ভায়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্যারালাইসিসে আক্রান্ত ছোট ভাই জালাল উদ্দিন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনার জেরে আমেরিকা প্রবাসী জালাল উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা মারধর সহ হত্যার হুমকির শিকার হলেও থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে ভয়ে বাড়ি হতে বের হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

আমেরিকা প্রবাসী জালাল উদ্দিনের বড় ভাগনে জাফর আলী জানান, উপজেলার দক্ষিন বুরুজ বাগান গ্রামে মৃত: ওমর আলীর ছোট ছেলে জালাল উদ্দিনের নিজ নামীয় বুরুজ বাগান ৭৭ নং মৌজায় সাবেক দাগ ১৬৩৫, ১৬৩৬ ও ১৮/১৭৫ নং হাল দাগ ৪৬১১ ও ২৪ নং দাগের সাড়ে ৫৪ শতক জমি ৩০/০৫/১৯৯৫ সালে শার্শার সাব রেজিস্ট্রী অফিসে রেজিষ্ট্রিকৃত ৩৬৬১ নং কবলা দলিল মুলে বড় ভাই আব্দুল জলিল রেজিস্ট্রী করে নেন। যাহাতে জালাল উদ্দিনের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে।

জালাল উদ্দিনের প্রবাসী পুত্র কামাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমার পিতা কোন জমি বিক্রয় করে নাই। আমর চাচা আব্দুল জলিল যে দলিল আমাদের দেখাচ্ছে সে খানে আমার পিতার নাম স্বাক্ষর মোঃ জালাল উদ্দিন লেখা আছে। কিন্তু আমার পিতা একজন অশিক্ষিত ব্যক্তি। আমার পিতা স্বাক্ষর করার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র জালাল লেখে। যেটা তার ব্যাংকের চেক বইয়ের পাতায় এবং পাসপোর্ট বইয়ের স্বাক্ষরে প্রমানিত রয়েছে।

কামাল হোসেন বর্তমানে আমেরিকায় বসবাস শুরু করে আসছে এবং তিনি সহ তার পিতা-মাতা সেখানকার গ্রীন কার্ড প্রাপ্ত নাগরিক। বিগত কিছুদিন পূর্বে আব্দুল জলিলের ভাইপো কামাল হোসেনের কাছে ১৬শতাংশ জমি বিক্রয় করলেও সে জমিও জলিল হোসেন দখল দিচ্ছিল না। পরে বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কতৃক মিমাংশীত হয়। এতে করে আব্দুল জলিল আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ছুটি শেষে আমেরিকান প্রবাসি কামাল হোসেন আমেরিকায় কর্মস্থলে যোগ দিলে গত ৩০ জানুয়ারী সকাল ১০ টায় আব্দুল জলিল নিজ সন্তান আবুল কালাম আজাদ ও তার পৌষ্য সন্ত্রাসী বজলেসহ ৪ জন কামাল হোসেনের আমেরিকান প্রবাসি মা ইসমোতারা ও তার বোন তানিয়া খাতুনের উপর হামলা চালায় এবং এলাকা ছেড়ে চলে যাবার জন্য হত্যা করা সহ বিভিন্ন প্রকারের প্রকাশ্য হুমকি প্রদান করে।

এ সময় ইসমোতারার স্বামী আমেরিকান প্রবাসি প্যারালাইসিসে আক্রান্ত জালাল উদ্দিন পাশেই হুইল চেয়ারে বসেছিল। বজলে বাহিনীর হামলায় আতঙ্কিত হয়ে বর্তমানে অথর্ব হয়ে গেছে তিনি। তাকে ঘর হতে কেউ বাইরে বার করতে পারছে না।

এ ব্যাপারে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তানিয়া খাতুন বাদি হয়ে ৫জনের নাম উল্লেখ করে শার্শা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি। বরং তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।