নিজস্ব প্রতিবেদক : রবিবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়; ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস

তীব্র গরমে বেড়েছে বরফের ব্যবহার/মাহমুদ হোসেন অপু/
বৈশাখের তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ। বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে মানুষের জনজীবন। থার্মোমিটারের পারদ চড়ছে প্রতিদিনই।

রবিবার (২১ এপ্রিল) শুরুতে দেশের ৪৯ জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও সন্ধ্যা নাগাদ তা আরও দুই জেলায় বিস্তৃত হয়েছে।

সন্ধ্যার বুলেটিনে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আর তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে রাজশাহী, টাঙ্গাইল, যশোর ও কুষ্টিয়ার ওপর দিয়ে।

এছাড়া মৌলভীবাজার, চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। একই পরিস্থিতি রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগেও।

রবিবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়; ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে থাকে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, “বৃষ্টিপাত না থাকায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। ২৩ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত এমন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।”

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এর মধ্যে চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে শনিবার; সেদিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছিল ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চুয়াডাঙ্গায় কেন এতো গরম?চুয়াডাঙ্গায় কেন এতো গরম?
তীব্র গরমের কারণে শনিবার স্কুল-কলেজে সাত দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। পরদিন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অনলাইনে ক্লাস চালানোর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

এদিকে, প্রচণ্ড গরমে মেহেরপুর, সিলেট ও নরসিংদীতে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শনিবার মৃত্যু হয়েছিল অন্তত দুইজনের।

পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।