খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ মার্চ ১৮, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 4739 বার
বিশেষ প্রতিনিধি : হরিদাস ঠাকুরের সাধন কানন নামে খ্যাত বেনাপোল ‘পাটবাড়ি আশ্রমে’ শুরু হয়েছে চার দিনের দোল পূর্ণিমা (হোলি উৎসব)।
আশ্রমের সভাপতি শ্রী তাপস বিশ্বাস বলেন, ঐতিহ্যবাহী দোল পূর্ণিমা (হোলি উৎসব) মহোৎসবকে উৎসবমুখর করতে শ্রীশ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুরের পাটবাড়ি আশ্রমে এবার চারদিনের অনুষ্ঠান বুধবার ‘অধিবাস’ দিয়ে শুরু হয়েছে। এরপর শ্রীশ্রী তারকব্রম্ম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান। শনিবার ‘ভোগ’ মহোৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দোল পূর্ণিমা উৎসব। এ অনুষ্ঠানে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
দোল উৎসব সম্পর্কে পাটবাড়ি আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ মাধবদাস বাবাজী বলেন, দোল পূর্নিমার অনুষ্ঠান মূলত আয়োজিত হয় শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আবির্ভাব তিথী উপলক্ষে। ১৪৮৫ খৃষ্টাব্দে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব।হিসেব অনুযায়ী এবার ৫৩৬তম আবির্ভাব তিথী। শ্রী জগন্নাথ মিশ্র ও শ্রীমতি সচীদেবীর ঘরে ২৩ফাল্গুন চন্দ্র গ্রহণের তিথীতে পৃথিবীতে ভূমিষ্ট হন শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু। তারই স্মরণে এই উপমহাদেশে অনুষ্ঠিত হয় দোল পূর্নিমা মহোৎসব। শ্রীশ্রী হরিদাস ঠাকুর ছিলেন শ্রীশ্রী অদ্বৈত মহাপ্রভূর পরমভক্ত।
“১৯৪৭ সাল থেকেই এই আশ্রম মন্দির চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে দোল পূর্ণিমার অনুষ্ঠান। প্রতিবছর ফাল্গুনী পূর্ণিমায় আয়োজিত হয় এই মহামিলনের অনুষ্ঠান।”
আশ্রমের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দেবনাথ বলেন, শুধু বেনাপোল অঞ্চলই নয়, সারাদেশ এমনকি ভারত বর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্তের সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠেছে আশ্রম প্রাঙ্গণ।
“দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও ভারত থেকে আসা ভক্তদের নিরাপত্তা, তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।এখানে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে এবারের দোল উৎসব চলছে।”
কলকাতার বাগুইহাটির রঞ্জন দাস বলেন, “কাজের চাপে এত দিন সময় করে উঠতে পারিনি। হোলি উপলক্ষে বাংলাদেশে এসছি। আত্নিয় স্বজনদের সাথে দেখা সাক্ষাতও হলো, পূর্ণস্থান দেখাও হলো।