স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের ঝিকরগাছা বাজার ফুড গোডাউনের সামনে অবস্থিত ঝিকরগাছা ফেমাস ক্লিনিক কাগজে কলমে বন্ধ থাকলেও সেখানে অপারেশন সহ সবই চলছে। আর বিষয়টি ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নজরে আনলে তিনি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ক্লিনিক মালিক কতৃপক্ষকে সাংবাদিকদের থেকে সাবধানে থেকে কাজ করতে বলেছেন।

গত বছর অনিবন্ধিত ক্লিনিক গুলোর বিরুদ্ধে সরকারের সাঁড়াশি অভিযান শুরু হলে ঝিকরগাছার ফেমাস ক্লিনিকের সঠিক কাগজপত্র না থাকায় বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ওপরে ওপরে বন্ধ হলেও তলেতলে ঠিকই ক্লিনিক চালু আছে। সেখানে অপারেশন, প্যাথলজিকাল পরীক্ষা সহ সবকিছুই চলছে। বর্তমানে ক্লিনিকের পরিচালক আজগর আলি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তাছাড়া সেখানে কোনো ল্যাব টেকনিশিয়ান না থাকলেও আজগর আলি প্যাথলজিকাল পরীক্ষার রিপোর্টে অন্যের নাম দিয়ে নিজেই স্বাক্ষর করছেন। এরকম জাল স্বাক্ষর করা দুটি রিপোর্ট সংবাদকর্মীদের হাতে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। ইতিপূর্বে ২০২১ সালের ১ মার্চ এই ক্লিনিকটি একবার সিলগালা করে দেওয়া হয়েছিল।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ক্লিনিকের পরিচালক আজগর আলি ২০২২ সালে আবেদন করা একটা কাগজ দেখান যেটার অনুমোদন নেই। বর্তমানে ক্লিনিক পরিচালনার কোনো অনুমতিও তিনি দেখাতে পারেননি। অন্য ক্লিনিকের প্যাথলজিস্টের স্বাক্ষর জাল করে নিজে স্বাক্ষর করার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন আমার ক্লিনিকের নামতো ফেমাস ক্লিনিক। আপনারা লিখে আমাকেও ফেমাস বানিয়ে দেন।

এপ্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রশিদুল আলম বলেন, স্বাক্ষর জাল করা রিপোর্ট আমি দেখেছি। বিষয়টি দেখবো।

যশোর জেলা সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বলেন, এধরণের জালিয়াতি মেনে নেওয়া হবে না। আমি এখনই বিষয়টি খোজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

উল্লেখ্য ঝিকরগাছা উপজেলার বিভিন্ন অলিগলিতে ব্যাঙের ছাতার মত অবৈধ ক্লিনিক প্রশাসনের নাকের ডগায় চললেও আজ পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে কঠোর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। এসব ক্লিনিকে বিভিন্ন সময়ে অপচিকিৎসায় মানুষ মারা গেলে সাময়িক ভাবে দু-একদিন বন্ধ থাকার পর প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ক্লিনিকগুলো আবার বহাল তবিয়তে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করা শুরু করে।