সানজিদা আক্তার সান্তনা : যশোরে ইঞ্জিনিয়ার এসএম বায়েজিদ হত্যা মামলায় আটক মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। পাওনা টাকা না দেয়ায় বায়েজিদকে খুলনা থেকে যশোর ধরে এনে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মোস্তাফিজুর। আজ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা আসামির এ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। মোস্তাফিজুর রহমান মণিরামপুরের আগরহাটি গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে।

মোস্তাফিজুর রহমান জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছে, যশোরের মুল্লক চান সহ তার তিন ভাইয়ের ঢাকার বসুন্ধারা আবাসিক এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের দেখাশুনা করতেন ইঞ্জিনিয়ার এসএম বায়েজিদ। এ ভবনের সাব কন্ট্রাকক্টরের কাজ করেন শহিদুল ইসলাম। কয়েক দিন আগে মোস্তাফিজুরকে শহিদুল ইসলাম জানায় ইঞ্জিনিয়ার বায়েজিদের কাছে পাওনা সাড়ে ৫ লাখ টাকা না দিয়ে আত্মগোপন করেছে। এরপর তারা দুইজন ইঞ্জিনিয়ার বায়েজিদকে খুজতে খুলনায় যায়। খোজাখুজির এক পর্যায়ে বায়েজিদকে পেয়ে তারা স্থানীয় শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে কান্সিলর টিপুর মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসায় ব্যর্থ হয়ে শহিদুল পাওনাদার যশোরের মুল্লুক চানকে জানায়। মুল্লুক চান তাকে যশোর ধরে নিয়ে আসতে বলে। এরপর তারা একটি গাড়ি ভাড়া করে যশোর মুল্লুক চানের অফিসে নিয়ে যায় বায়েজিদকে। মুল্লক চান বায়েজিদকে দেখে কর্মচারীদের হুকুম দেয় গাছের সাথে বেধে রাখতে। এরপর মুল্লুক চান ও তার অফিসের কর্মচারীরা বায়েজিদকে পিটিয়ে হত্যা করে বলে বলে জানিয়েছে মোক্তাফিজুর রহমান খোকা।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ২৫ মার্চ সকালে শহরের লোন অফিস পাড়ার মুল্লুক চানের চালের আড়ত থেকে ইঞ্জিনিয়ার বায়েজিদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বায়েজিদ খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাস্থ হাজি ইসমাইল লিংক রোডের আলআমিন মহল্লার ৬২/৩ নম্বর বাড়ির মৃত শিকদার নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি মুল্লুক চাঁদ ও সঞ্জয় চৌধুরীর ঢাকার অফিসের কর্মী ছিলেন।

এ ঘটনায় নিহতের মা দিলরুবা ৯জনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত ৫/৬ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার এজাহারনামীয় আসামি মোস্তাফিজুর রহমান খোকাকে আটক ও মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। খোকা এ ঘটনায় জড়িত ও অপর জড়িতের নাম উল্লেখ করে আদালতে ওই জবানবন্দি দিয়েছে।