স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের ঝিকরগাছায় শংকরপুর ইউনিয়নের বকুলিয়া গ্রামের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, ফসলের ক্ষতি, শব্দ দুষণ থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে অবৈধ মাটির গাড়ি চলাচল বন্ধের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়েরের পরেও বন্ধ হয়নি মাটির গাড়ি চলাচল। স্বল্প সময়ের জন্য বন্ধ থাকলেও আগের চেয়ে বেশি পরিমাণ গাড়িতে করে চলছে অবৈধ এই মাটির গাড়ি। এই নিয়ে জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

গত মঙ্গলবার (৫মার্চ) বকুলিয়া গ্রামের কিছু কৃষক তাদের জমির ফসল রক্ষা, আশেপাশের ৩ গ্রামের শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে চলাচল এবং শব্দ দুষণ রোধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। এটি নিয়ে পরেরদিন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়।

সংবাদকর্মীদের অনুসন্ধানে উঠে আসে, নায়ড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের মাছের ঘের থেকে সামটা গ্রামের সুমন ও পিপড়াগাছি গ্রামের লিটন ১০/১৫ টি ট্রাক্টর লাগিয়ে ১৫ দিন ধরে দিনরাত মাটি কাটাচ্ছে এবং সেই মাটি হাড়িখালির কুচেমোড়া গোল্ড ভাটায় দিচ্ছে। এদিকে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সাময়িক ভাবে বন্ধ হলেও আবারও শুরু হয়েছে মাটি কাটা। গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, প্রশাসনের নির্লিপ্ততার কারণে মাটি খেকোরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা গ্রামে বলে বেড়াচ্ছে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা মাটি কাটছে। যারা এই কাজের সাথে জড়িত তাদের কঠিন শাস্তির দাবি জানান গ্রামবাসী।

ঝিকরগাছা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এম মামুনুর রশীদ বলেন, শুধু একটি নয় ঝিকরগাছায় অনেক জায়গায় অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগ পাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমাদের অভিযান চলমান আছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল বলেন, গ্রামবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকটি মাটির গাড়ি জব্দ করা হয়েছিল। তারা মাটি কাটবেনা এই মুচলেকা দিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরও মাটি কাটার বিষয়টি দুঃখজনক। এর সাথে যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।