খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, ঝিনাইদহ | তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 3069 বার
ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ শতবর্ষী বৃদ্ধা নয়তন নেছা বসবাস করেন ভাঙ্গাচোরা ঘরে। শরীর ও চোখেমুখে বয়সের ছাপ। চলতে ফিরতে পারেন না। নয়তন নেছাকে বয়স্ক ভাতা দেওয়া হলেও তিনি তা ভোগ করতে পারেন না। ভাতার টাকা চলে যায় সুরাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য তাইজুল ইসলাম ভেলুর মোবাইলে।
নয়তন নেছা ঝিনাইদহ সদরের পূর্ব কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বয়স্ক ভাতার টাকা না পাওয়ায় তাঁর নাতি ইকবাল হোসেন ইউনিয়ন পরিষদে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তাঁর দাদীর জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ০১৭১২৪৯০৮৯৬ নম্বরে নগদ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হচ্ছে। পরে বৃদ্ধার নাতি ওই নাম্বারে যোগাযোগ করে জানতে পারেন অ্যাকাউন্টটি সাবেক ইউপি সদস্য তাইজুল ইসলাম ভেলুর।
অভিযোগ স্বীকার করে সাবেক ইউপি সদস্য তাইজুল ইসলাম ভেলু বলেন, আমি তো অন্যায় কিছু করিনি। ইউপি সদস্যের দায়িত্বে থাকা সময়ে আমি আমার মোবাইল নাম্বার ওই বৃদ্ধার জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে যুক্ত করে দিয়েছিলাম। তাঁর কয়েক বছরের টাকা আমি নিয়েছি।
বিষয়টি নিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা শাখার সভাপতি ও মানবাধিকার কর্মী সাবেক অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকু জানান, এ ধরনের কাজে যারা জড়িত থাকে তাদের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী জানান, কার্ডধারী যেন তার বয়স্ক ভাতার টাকা ফিরে পেতে পারেন সে ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সে সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী ওই বৃদ্ধার বাড়িতে ছুটে যান এবং আর্থিক সহায়তা করেন।