জি এম আসলাম হোসেন, কপিলমুনি : পাইকগাছা তথা কপিলমুনির কৃতি সন্তান তরুণ কবি উৎপল কর্মকার অভি’র দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ “নৈশব্দের পরের কবিতা” অমর একুশে বইমেলা ২০২২ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যগ্রন্থটি ঢাকার পার্ল পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকা বইমেলায় “পার্ল পাবলিকেশন্স” এর ২৮ নং প্যাভিলিয়ন, খুলনা বইমেলার “আলফা বুক হাউজ”এর ২৮-২৯ নং স্টল এবং রকমারি ডট কমে কাব্যগ্রন্থটি পাওয়া যাচ্ছে।
কাব্যগ্রন্থটিতে কবিতার মাধ্যমে কবি প্রেমের বিভিন্ন স্তরের গভীরে প্রবেশ করেছেন। প্রেম-বিরহের মিশেলে মানব জীবনের চড়াই-উৎরাই তুলে ধরেছেন। রোমান্টিকতা বইটির কবিতার মূখ্য বিষয় হলেও প্রকৃতি, জীবনবোধ, বৈষম্যহীন সমাজচিন্তা, ভেদাভেদহীনতা, মানবতাবাদ, দেশপ্রেম প্রভৃতি বিষয়ও স্থান পেয়েছে। কবির একটাই চাওয়া “এ পৃথিবী কবিতার মতই ভালোবাসাময় হয়ে উঠুক। দূর হোক সকল ভেদাভেদ, মানুষের একটাই পরিচয় হোক, সে মানুষ।
এর আগে তাঁর প্রথম রোমান্টিক কাব্যগ্রন্থ “পাঁজরে রুপালি ছাই” অমর একুশে বইমেলা ২০২১ এ প্রকাশিত হয়েছিল। কাব্যটি পাঠক সমাজ বিশেষ করে তরুণ তরুণীদের ব্যপক ভাবে আকৃষ্ট করে।
কবি উৎপল কর্মকার অভি খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির উত্তর সলুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। উৎপল বাসন্তী রাণী কর্মকার এবং সুকুমার কর্মকারের ছোট সন্তান। কবি কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির এবং কপিলমুনি কলেজ থেকে যথাক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশ শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিভাগে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত রয়েছেন। কথা হলে কবি জানান, ছোট বেলা থেকেই কবিতার প্রতি তাঁর প্রবল আগ্রহ ছিল। তাই কাব্য চর্চায় তিনি ঝুঁকে পড়েছেন, সারা জীবন তিনি কাব্য সাহিত্য সাধনা করতে চান।