খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ জানুয়ারি ১, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 5645 বার
আব্দুল্লাহ আল-মামুন : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে যশোর-১, (শার্শা) আসনে নৌকায় সমর্থন জানিয়েছেন উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তান সংসদ কমান্ড।
সোমবার বেলা ১১ টার সময় শার্শা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ ও নির্বাচনী সভায় নৌকার প্রার্থী আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিনকে সমর্থন জানিয়ে তাকে ফুলের নৌকা উপহার দেন মুক্তিযোদ্ধাদেও পক্ষে কমান্ডার মোজাফফর হোসেন।
একটানা ৩ বারের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য ও এবারও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিনকে ফুলেল সম্বর্ধনা জানিয়ে তাঁরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক নৌকা মার্কার বিজয়ের নিশান পতপত করে উড়ছে বলে জানান।
শার্শা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর হোসেনের সভাপতিত্বে অনিুষ্ঠিত এ নির্বাচনী সভায় শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিস্বার্থ দেশ প্রেমের কারণে আমরা আজ স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৌকায় চড়ে আপনারা দীর্ঘ ৯টি মাস অশুভ শক্তির বিপক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন। আপনাদের গৌরবগাঁথা এ অর্জণ বাঙালি জাতি কোনদিন ভূলবে না। আপনারা আমাদের দিয়েছেন স্বাধীন স্বার্বভৌম লাল সবুজের পতাকা। আজ আপনাদের কারণে আমরা এমপি, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারি হতে পারছি। যেকারণে বাঙালি জাতি কোনদিন মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ শোধ করতে পারবে না। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে’ বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রতীক নৌকা মার্কাকে উচ্চতে রাখার অনুরোধ করেন।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু বলেন, বাঙালি জাতি খুব নীরিহ জাতি। যে জাতি স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ে অজস্র যুগযুগ ধরে ক্ষমতাশীলদের মাধ্যমে শোসিত হয়ে আসছিলো। যা মেনে নিতে পারেনি বাংলার রাখাল রাজা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাঙালি জাতিকে সাহস জুগিয়েছেন, বীরত্বের সাথে বাঁচতে শিখিয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়ে তিনি অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে পরাধীনতার সিঁকল ছিঁড়ে বের হয়ে আসার ডাক দিয়েছিলেন। যে যুদ্ধে বাংলার অসংখ্য কৃষক, মজুর, চাষী, জেলে, চাকুরিজীবি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ নিস্বার্থভাবে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। নিজেদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। আজ আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে আছি, এখনও ভূলিনি একাত্তরের কথা। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, ততদিন থাকবে লাল সবুজের পতাকা আর সেই পতাকা জুড়ে চির অম্লান রবে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশকে উন্নয়নের মহা সড়কে নিয়ে যাচ্ছে। যা মেনে নিতে পারছেনা এদেশের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা সেই অশুভ শক্তির দোষররা। ওরা বারবার চাইছে বঙ্গবন্ধু কণ্যা বাংলাদেশ উন্নয়নের মহানায়ক শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে। ওরা চাইছে এদেশে আগুণ সন্ত্রাস ঘটিয়ে অন্ধকার পথ দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে। যেকারণে এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওরা না এসে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। ওরা চাইছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঘাড়ে চেপে বৈতরণী পার হতে। কিন্তু বাংলার মানুষ ওদের চালাকি বুঝে ফেলেছে। ওরা দেশের শত্রু, বাঙালি জাতির শত্রু, ওরা আগুণ সন্ত্রাসীদের প্রেতাত্মা। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ ওদেরকে ভোটের মাধ্যমে প্রত্যাখান করবে। এবারের ভোটে নৌকা মার্কা আবারও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
এসময় আরও বক্তব্য প্রদাণ করেন বেনাপোল মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম হাওলাদার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামীলীগের মার্কা নৌকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মার্কা নৌকা। বাংলাদেশ উন্নয়নের মার্কা নৌকা। এজন্য, এবারও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোটের কোন বিকল্প নেই। যেকারণে শার্শা উপজেলার জীবিত মুক্তিযোদ্ধারা করেছে পণ, এ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোটের বিপ্লব ঘটিয়ে আওয়ামীলীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখে মরতে চায় বলে জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, শার্শা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান, আব্দুস সামাদ, জিয়াউল হোসেন, ইসলঅম সরদার, আব্দুল কাদের, শওকত আলী, কালু মিয়া, ওয়াদুদ নবী, বজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ, কিরামত আলীসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্ত্রী ও সন্তানেরা।