আব্দুল্লাহ আল-মামুন : যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে, এরা ষড়যন্ত্রকারি। এরা বিএনপির প্রেতাত্মা। বিএনপি ষঢ়যন্ত্র করে আর এরাও ষড়যন্ত্র করে। এরা ছোট ছোট চ্যাঙ মাছ। এই ছোট ছোট চ্যাঙ মাছ, যখন একটু উপরে ওঠে তখন খুব লাফালাফি করে। টিপ দিলেই ফেটে যায়। এই স্বতন্ত্র প্রার্থীও চ্যাঙ মাছ, একটু টিপ দেবেন, ফটাস করে ফেটে যাবে। কোন অস্তিত্ব থাকবে না। শার্শা আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী লিটন বলে বেড়াচ্ছেন উনি আওয়ামীলীগ করেন এবং আওয়ামীলীগের প্রার্থী। একটা প্রবাদ আছে, বধু আর চটি নেই, চটি বোগলে। তুমি আওয়ামীলীগ বললি কি আমি মেনে নেবো? সোমবার বিকেলে শার্শা উপজেলা যুবলীগের আয়োজনে বেনাপোল বলফিল্ড মাঠে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে যশোর-১, (শার্শা) আসনের নির্বাচনী সভায় কথাগুলি বললেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন।

শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদেও সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোয়ারাব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসমুদ্রে তিনি আরও বলেন, তুমি আওয়ামীলীগ করলে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে কথা বলতে না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তুমি নিজের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার আদেশ অমান্য করতে না। তুমি এখন আওয়ামীলীগের কোন নেতা নও। খবর হবে, দেখা হবে, খেলা হবে ৭ তারিখের পর। জীবনে আর কখনও তুমি আওয়ামীলীগে যোগদান করতে পারবে না।

তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী লিটনকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, এই ষঢ়যন্ত্রকারিরা ভেজাল। এদের দলে রাখার কোন দরকার নেই এবং ইনশাল্লাহ, আমরা তাকে দলেও রাখব না। বারবার তুমি স্বতন্ত্র নিয়ে খেলবে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নিয়ে দলের বিপক্ষে খেলবে, উপজেলা নির্বাচনে দলের বিপক্ষে খেলবে, পৌরসভা নির্বাচনে দলের বিপক্ষে খেলবে, আমরা-কি আপনাকে পূজো করবো?

সভাপতি মিলন বলেন, আমি জানি, যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে। এপর্যন্ত যতো খবর আছে, শার্শার আফিল উদ্দিন নৌকা প্রতীকে সর্বোচ্চ ভোটে এখনও জিতে আছে। আরও আসছে দিন’ দেখবেন, জায়গার গুটি জায়গায় সবাই চলে আসবে। যারা এখনও একটু স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র করছেন, সবাই প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব নৌকায় চলে আসবে এবং এই স্বতন্ত্র’ ভেজাল হয়ে পড়ে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, জামায়াতের নেতা দুদু মামুকে নিয়ে ইলেকশনে জেতা যাবে না। আওয়ামীলীগ কি মরে গেছে? আওয়ামীলীগ সজাগ আছে। শেখ হাসিনা সজাগ আছে। যারা ভোট দিতে আসবেন না! ভোট সেন্টারে এসে যদি গ্যাঞ্জাম করেন, পিঠের চামড়া থাকবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত কঠিন, যারা ভোটে বাধা সৃষ্টি করবে, কোন ছাড় পাবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ যারা করে, আপনারা নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোট দিতে বলেনি। ওই মামুদের নিয়ে, জামায়াত-বিএনপি নিয়ে পার হওয়া যাবে না। যারা আওয়ামীলীগের কথা বলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাই এবং নিজের স্বার্থের জন্য প্রার্থী হই, এরা আওয়ামীলীগের লোক নয়।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর এই বেনাপোল বন্দরে প্রথম যখন এসেছিলাম, তখন কিছু কুঁড়ে ঘর আর একটি বাঁশকল ছাড়া কিছু ছিলোনা। আওয়ামীলীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর সেই বেনাপোল এখন আর চেনা যায় না। এখানে শেখ আফিল উদ্দিন যে উন্নয়ন করেছে তা দৃষ্টিনন্দন। রেন্টু চাকলাদার যখন যশোর পৌরসভার মেয়র ছিলো তখন সে যশোরটাকে সুন্দর করে সাজিয়েছে। শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশকে এভাবে সুন্দর করে সাজিয়েছে। ঢাকা শহরে মেট্রোরেল, সুন্দর সুন্দর রাস্তা, ফ্লাইওভারসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। যারা ১০ বছর আগে গেছেন তারা এখন চিনতে পারবে না। আর দশটা বছর যাইতে দেন, তাকে ক্ষমতায় রাখেন, তিনি সমগ্র বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে দেবেন।

এসময় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য প্রদাণ করেন যশোর-১, (শার্শা) আসনের টানা ৩ বারের সংসদ সদস্য ও এবারও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদাণ করেন যশোর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, কেন্দ্রীয় মহিলালীগের উপ-কমিটির সদস্য হাজিরা পারভীন, শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু প্রমুখ।

১০ হাজার মানুষের ধারণ ক্ষমতার মাঠ বেনাপোল বলফিল্ড প্রাঙ্গণের উপচে পড়া জনসমুদ্রে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, যশোর জেলা মহিলালীগের শিল্প ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক বিলকিছ সুলতানা সাথী, যশোর পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মুন্সি মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল খায়ের, বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন, যশোর জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আসিফ উদ-দৌলা অলোক, দৈনিক স্পন্দন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মাহাবুব আলম লাবলু, শার্শা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর হোসেন, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও যশোর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সালেহ আহমেদ মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, কোষাধক্ষ ওয়াহিদুজ্জামান অহিদ, শার্শা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া ফেরদৌস, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল হক মুকুল, বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বজলুর রহমান, শার্শা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন আহমেদ তোতা, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক, শার্শা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বৈদ্যনাথ দাস, যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদ, সাধারন সম্পাদক সোহরাব হোসেন, যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার, বেনাপোল পৌরসভার কাউন্সির শাহিনুর রহমান শাহীন, আজিম উদ্দিন গাজী, হাসানুজ্জামান তাজিন, আসাদুজ্জামান আসাদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।