স্টাফ রিপোর্টার : ৭ই জানুয়ারি একদলীয় নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি শূন্যের কোটায় থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেছেন, মানুষ সুযোগ চেয়েছে আওয়ামী লীগের মতো ভোট চোর ও স্বৈরশাসকের গলা টিপে ধরার। এবার সেই সুযোগ কাজে লাগাতে জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে না এবং শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জনগণ আন্দোলন চালিয়ে যাবে। আজ দুপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবীতে প্রেসক্লাব, পল্টন ও বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

১২ দলীয় জোট নেতারা বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ টিম ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে এবং ভোটারদের অর্থের লোভ দেখানো হচ্ছে। এতেই প্রমাণিত হয় আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি নাই। অবিলম্বে নির্বাচন বাতিল ও পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগ এখন নিজেদের দলীয় প্রার্থীর উপর আস্থা রাখতে পারছে না। তাই তারা বিভিন্ন দলের বহিষ্কৃত অযোগ্য নেতাদের দিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করাচ্ছে। তবে এই নির্বাচন দেশে এবং বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবে না। তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন বাতিল না করলে তারাই মহা সংকটে পড়বে। তাই শেখ হাসিনার পদত্যাগ করা উচিত।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এই সরকারের উপর আর বিন্দু মাত্র আস্থা রাখতে পারছে না।